চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধা মা। বাঁচাতে গিয়ে পড়ে যান ছেলেও। চলন্ত ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মের ফাঁক দিকে গলে যাচ্ছিলেন। সেই সময় এমন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ছুটে এসে দু’জনকে উদ্ধার করলেন কর্তব্যরত আরপিএফ-এর ‘মেরি সহেলি’ দলের এক মহিলা কনস্টেবল। শনিবার সন্ধ্যায় এমনই হা়ড়হিম করা দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন বাঁকুড়া স্টেশন চত্বরের লোকজন। মা-ছেলের প্রাণ বাঁচানোই নয়, ট্রেন থামিয়ে ওই দুই যাত্রীকে নির্দিষ্ট কামরায় তুলেও দেন কে তেজার নামে ওই কনস্টেবল।
রেল সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা ৩১-এ জয়নগর-পুরী এক্সপ্রেস বাঁকুড়া স্টেশনের দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে। মিনিট তিনেক দাঁড়ানোর পর ৫টা ৩৪ মিনিটে ট্রেনটি চলতে শুরু করে। সেই সময় ওই ঘটনাটি ঘটে। গোটা ঘটনায় স্টেশনে থাকা সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ট্রেনটি চলতে শুরু করেছে দেখেই প্ল্যাটফর্ম ধরে হেঁটে আসা এক মহিলা ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। উল্টো দিক দিয়ে ছুটে এসে এক মধ্যবয়সি ব্যক্তি ওই বৃদ্ধাকে ট্রেনে ওঠানোর চেষ্টা করেন। এমন সময় পা হড়কে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান বৃদ্ধা। টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান উল্টো দিক দিয়ে ছুটে আসা ব্যক্তিও। দু’জনেই ট্রেন ও প্লাটফর্মের মাঝের ফাঁক দিয়ে ক্রমশ গলে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনার সময় অদূরেই ছিলেন তেজর। ওই দৃশ্য দেখে দ্রুত এসে এক ঝটকায় দু’জনকে প্ল্যাটফর্মে টেনে তোলেন তিনি। ওই দু’জন সম্পর্কে মা ও ছেলে।
তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও বাঁকুড়া স্টেশনে আরপিএফ-এর মেরি সহেলি দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আল্পনা কুমারী বলেন, “যে ভাবে ওই দুই যাত্রী পড়ে গিয়েছিলেন, তাতে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। আমাদের মেরি সহেলি দলের তৎপরতায় ওঁদের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।”