বাড়ছে হাতিনালার জলস্তর। —নিজস্ব চিত্র।
ভুটান পাহাড় এবং ডুয়ার্সে টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন কয়েকটি চা বাগান। টানা বৃষ্টিতে জল বেড়েছে বানারহাট এবং বিন্নাগুড়ির কয়েকটি নদীতে। বানারহাট, বিন্নাগুড়ি, চামুর্চি এবং ভুটান পাহাড়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি চলছে। তার ফলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
লাগাতার বৃষ্টি আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে ডুর্য়াসে। হাতিনালার জলে ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি চা বাগান। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। কিছু দিন আগেই হাতিনালার জলে ভেঙে যায় গয়েরকাটা থেকে বিন্নাগুড়ি যাওয়ার পথে লালপুল সেতু। তা এখনও ভাঙা অবস্থাতেই রয়েছে। তাই ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতেও রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ধূপগুড়ি পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড। যার ফলে চরম দুর্ভোগে ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এ জন্য নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিংহ অবশ্য বলেন, ‘‘কিছু কিছু এলাকায় জল জমেছে বলে খবর পেয়েছি। তবে বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই বৃষ্টির জল জমেনি। লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ ছিল। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বর্ষার শেষে সব প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।’’ জলপাইগুড়ির বাসুসুবাো গ্রামেও জল ঢুকেছে বৃহস্পতিবার।