উত্তর সিকিমের লাচুং ও লাচেনে তুষারপাত। নিজস্ব চিত্র।
বড়দিনের সকাল থেকেই পূর্ব সিকিমের নাথু লা, উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেনের মতো উঁচু এলাকায় তুষারপাত শুরু হয়েছিল। তার ঠিক তিন দিন পর বুধবার দুপুর থেকে ফের শুরু হল তুষারপাত।
বুধবার সকাল থেকেই সিকিমের আবহাওয়া ছিল থমথমে। একটু বেলা বাড়তেই শুরু হয় তুষারপাত। বিকেলের মধ্যে উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ঢেকে যায় বরফের সাদা চাদরে৷ মূলত উত্তর সিকিমের লাচুং ও লাচেন এই দুই শহরে ব্যাপক পরিমাণে তুষারপাত হয়েছে। দিনে তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের পাঁচ ডিগ্রিরও নীচে। রাতের পারদ আরও নিম্নগামী। নতুন বছরের আগে এই আবহাওয়া চুটিয়ে উপভোগ করছেন পর্যটকেরা।
সিকিম আবহাওয়া দফতরের পুর্বাভাস অনুযায়ী, বড় দিনেই মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয় উত্তর সিকিমে। অন্য দিকে, এ রাজ্যের উচ্চতম স্থান সান্দাকফু-সহ বিভিন্ন এলাকায় তুষারপাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ধীরে ধীরে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে সমতলভাগ কুয়াশাচ্ছন্ন। রাত বাড়তেই পাহাড়-সহ সমতলের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। শিলিগুড়িতেও হয়েছে বৃষ্টি।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে এই তুষারপাত। দার্জিলিং পাহাড়ের নিচু এলাকাগুলিতে এখনও তুষারপাত হয়নি। গত বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দার্জিলিঙে বরফ পড়তে শুরু করেছিল। এ বারও ডিসেম্বরের শেষে পাহাড়ের কিছু জায়গায় তুষারপাত।