Rhino

কোচবিহারের রসমতীর জঙ্গলে হবে গন্ডারের আবাসস্থল, গড়া হবে পর্যটনকেন্দ্রও

রসমতীর জঙ্গলে জঙ্গলে গন্ডার ছাড়ার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হলেও নানা জটিলতায় সে প্রকল্প মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেয়েছে বন দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:১৩
Share:

খুব শীঘ্রই জলদাপাড়া এবং গরুমারা থেকে রসমতীর জঙ্গলে নিয়ে আসা হবে গন্ডার। ছবি: সংগৃহীত।

কোচবিহারের পাতলাখাওয়ার রসমতীর জঙ্গলে তৈরি করা হচ্ছে গন্ডারের দ্বিতীয় আবাসস্থল। আগামী এক বছরের মধ্যে তার পরিকাঠামো গড়ে গন্ডার নিয়ে আসা হচ্ছে রসমতীর জঙ্গলে। সেই সঙ্গে একে ঘিরে করে একটি পর্যটনকেন্দ্রও গড়ে তুলবে রাজ্য সরকার। বুধবার এই প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

বুধবার রসমতীর জঙ্গল পরিদর্শন করেন জ্যোতিপ্রিয়। পাশাপাশি, জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, পুলিশ সুপার সুমিত কুমার-সহ বন দফতরের আধিকারিকেরা।

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণের আমলে গন্ডারের দ্বিতীয় আবাসস্থল গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে জঙ্গলে গন্ডার ছাড়ার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হলেও নানা জটিলতায় সে প্রকল্প মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেয়েছে বন দফতর। খুব শীঘ্রই জলদাপাড়া এবং গরুমারা থেকে রসমতীর জঙ্গলে নিয়ে আসা হবে গন্ডার। এর পর বছরখানেকের মধ্যে গন্ডারের দ্বিতীয় বাসস্থান তৈরি করা হবে। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘প্রথম ধাপে রসমতীর জঙ্গলে ২টি গন্ডার ছাড়া হবে। পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে আরও গন্ডার ছাড়া হবে জঙ্গলে।’’ এই জঙ্গলকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, ‘‘জলদাপাড়া এবং গরুমারার মতো এই রসমতী জঙ্গলকে কেন্দ্র করে একটি সুন্দর পর্যটনকেন্দ্র গড়ে করা হবে। পর্যটন দফতর এবং বন দফতরের পক্ষ থেকে তৈরি করা হবে একটি টুরিস্ট বাংলোও। গন্ডারের পাশাপাশি হরিণ, লেপার্ড, হাতি সবই ছাড়া হবে এই জঙ্গলে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement