আশোক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র
অশোক ভট্টাচার্যের অসুস্থতার খবর পেয়ে নিজেই ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেছিলেন অশোক-পত্নী রত্নাদেবীর সঙ্গে।
নবান্ন সূত্রের খবর, আশ্বাস দিয়েছিলেন চিকিৎসায় সব রকম সাহায্যের। এ বারে রাজ্যের করোনা মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্সের অন্যতম চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরীর পরামর্শে কলকাতায় স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মেডিসিন বিভাগের প্রধান বিভূতি সাহা, আমরি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শুশ্রূত বন্দ্যোপাধ্যায়, অ্যাপোলো হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রামা সুব্বন এবং শিলিগুড়ির শেখর চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
মাটিগাড়ার যে নার্সিংহোমে অশোক চিকিৎসাধীন, সেখানে চিকিৎসক কল্যাণ লাহিড়ি, আসিফ হুসেন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেডিক্যাল টিম চিকিৎসা করছিল। তাঁদের সঙ্গে কলকাতার তিন চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর। শুক্রবার রাত থেকে তাঁরা টেলি কনফারেন্সে বিধায়কের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে চিকিৎসা করছেন। নার্সিংহোমের কর্ণধার তথা শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়ার হস্তক্ষেপে নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের সঙ্গে কলকাতার ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গড়তে কোনও সমস্যা হয়নি।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার কথা বলে চিকিৎসার বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন। কোনও রকম প্রয়োজন রয়েছে কি না বিধায়কের স্ত্রী রত্নাদেবীকে ফোন করেও তা জানতে চান। অশোকের চিকিৎসার সংক্রান্ত বিস্তারিত জানান। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার জানান, রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন।
এর মধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভার সাফাই বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিদায়ী কাউন্সিলর মুকুল সেনগুপ্তকে অসুস্থতার জন্য প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট মেলেনি।