ব্যবসায়ীদের বাধা। —নিজস্ব চিত্র।
শহরে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে এ বার ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়তে হল শিলিগুড়ি পুরসভাকে। পুরসভার ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ আন্দোলনে নামলেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার হকার্স কর্নারে একটি দোকানের অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়েছিলেন পুরসভার কর্মীরা। সেখানে কার্যত ব্যবসায়ীদের ‘তাড়ায়’ এলাকা ছাড়তে হয়েছে কর্মীদের। এর পরেই হকার্স কর্নারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে দীর্ঘক্ষণ ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ চলে। পুরসভাকে ব্যবসায়ীরা হুঁশিয়ারি দেন, এর পরে দোকান ভাঙতে এলে, শহরের অন্যান্য বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।
সম্প্রতি শহরের বেশ কিছু অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে শুরু করেছে পুরসভা। এ দিন হাসপাতাল মোড়ের কাছে নিবেদিতা মার্কেটে একটি ওষুধের দোকানের অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়। এর পরে, সেখান থেকে পাশেই হকার্স কর্নারে একটি দোকানের অবৈধ নির্মাণ ভাঙার জন্য গিয়েছিলেন কর্মীরা। অভিযোগ, ওই দোকানের উপরে টিন দিয়ে আর একটি গুদাম বানানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পুরকর্মীরা যেতেই আশপাশের ব্যবসায়ীরা এসে বাধা দেন। পরে রাস্তা আটকে শুরু হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি।
পরে, এ দিন হকার্স কর্নার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, “৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে ব্যবসা করছেন সবাই। রেল ও এসজেডিএ-র জমিতে দোকান রয়েছে। সেখানে পুরসভার দোকান ভাঙার অধিকার নেই। এর পরে, দোকান ভাঙতে এলে শহরের অন্যান্য বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আন্দোলনে নামব।”
পাশাপাশি, শিলিগুড়ি বৃহত্তর খুচরা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় মুহুরি বলেন, “পুরসভাকে আগে ঠিক করতে হবে, কোনটা স্থায়ী ও কোনটা অস্থায়ী পরিকাঠামো। মধ্যবিত্তেরা এখানে ব্যবসা করছেন। এখন ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে পুরসভা। একটি দোকানও ভাঙতে দেওয়া হবে না।”
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব জানান, “পুরসভা এলাকার মধ্যে কোনও নির্মাণ করলে, তার অনুমতি নিতে হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর লোকজন ও সংগঠন অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করছেন। অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে পুরসভার তরফে অভিযান চলবে।”