—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা ভোটের আগে, জলপাইগুড়ি শহরের জন্য দশ কোটি টাকা বরাদ্দ করল শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তথা এসজেডিএ। পুরসভা এলাকার রাস্তা, সেতু, কালর্ভাটের জন্য এই বরাদ্দ করেছে এসজেডিএ। জলপাইগুড়ি শহর ছাড়াও, রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি, মাল ব্লকেও পরিকাঠামোর জন্যও প্রায় দশ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পুরো টাকাটাই বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। নাগরিক পরিকাঠামোর সঙ্গে হাতি করিডরেও আলো লাগাচ্ছে সংস্থা। হাতি চলাচলের পথে অনেক সময়েই অন্ধকারে বুনো হাতির সামনে পড়েন বাসিন্দারা। সে আশঙ্কা কাটাতেই হাতি করিডরে আলো জ্বালাবে এসজেডিএ। জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ির বনাঞ্চলের পাশে করিডরে জ্বলবে আলো।
জলপাইগুড়ি শহরের পরিকাঠামোগত কাজ এসজেডিএ নিজেই করবে। দশ কোটি টাকার কাজে শহরের প্রধান রাস্তা থেকে গলির রাস্তাতেও কাজ করবে। শহরের রাজবাড়ির দিঘির চারপাশে চালানোর জন্য ব্যাটারির গাড়ি আনছে এসজেডিএ। আজ, রবিবার থেকে চারটে ব্যাটারি চালিত গাড়়ি মহড়ার জন্য চালানো হবে। সূত্রের দাবি, নতুন বছরের শুরু থেকে ব্যাটারি চালিত গাড়ি চালানো হবে। সে গাড়ি চালানোর মহড়া সফল হলে, খেলনা রেলগাড়ি চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে এসজেডিএ-এর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বানারহাটে সভা করে ফিরে যাওয়ার পরে, এসজেডিএ-এর আধিকারিকদের ডেকে পাঠায় নবান্ন। তার পরেই, প্রস্তাব দেওয়া একাধিক প্রকল্পে অনুমোদন দেয় রাজ্য। প্রকল্পগুলির সবক’টিরই টেন্ডার-প্রক্রিয়া হয়েছে। আর্ট গ্যালারির সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে বলে দাবি এসজেডিএ-এর। এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার পরে, আমাদের রাজ্য সরকার ডেকে পাঠায়। একাধিক প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছে। শুধু পরিকাঠামো নয়, হাতি করিডরেও আলো লাগানো হবে।”
এসডেজিএ-এর দাবি, মাল তথা ডুয়ার্সে এবং শিলিগুড়িতে হাতি করিডরে আলো লাগানো হবে। হাতির একশোটি করিডরে উঁচু আলোকস্তম্ভ লাগানো হবে। বন দফতর থেকে অনুমতিও মিলেছে। আলোর স্তম্ভ হাতি ভেঙে দেওয়ার আশঙ্কার কারণে শক্তপোক্ত ভাবে আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। ব্যাটারিচালিত এই আলো অন্ধকার নামলেই জ্বলে উঠবে। বিদ্যুৎ না থাকলেও আলো জ্বলবে।