রেশন কার্ড ডিজিটাল করাতে ভিড় বাড়ছে, হয়রানিও

দার্জিলিং জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ডিজিটাল রেশন কার্ড শুধুমাত্র ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য দেওয়ার জন্য প্রয়োজন। ঠিকানা বা পরিচয়পত্র প্রমাণ হিসেবে তার ব্যবহার হবে না।

Advertisement

নীতেশ বর্মণ

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৭
Share:

অপেক্ষা: ডিজিটাল রেশন কার্ড ও তাতে আধার যুক্ত করার জন্য শিলিগুড়ির বাগরাকোটে খাদ্য দফতরের অফিসে দীর্ঘ লাইন। নিজস্ব চিত্র

ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে বারবার উঠছে হয়রানির অভিযোগ। সোমবার শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে উপচে পড়েছে গ্রাহকদের ভিড়। কেউ এক ঘণ্টা, কেউ আবার দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলেন আবেদন পত্র তোলা ও জমা দেওয়ার জন্য। তাঁদের অনেকেই হয়রানির অভিযোগ করেছেন। কারও দাবি, এর আগেও আবেদন করে মেলেনি ডিজিটাল রেশন কার্ড। কেউ আবার এনআরসির কথা ভেবে দাঁড়াচ্ছেন লাইনে।

Advertisement

দার্জিলিং জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ডিজিটাল রেশন কার্ড শুধুমাত্র ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য দেওয়ার জন্য প্রয়োজন। ঠিকানা বা পরিচয়পত্র প্রমাণ হিসেবে তার ব্যবহার হবে না। সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, এই ঘোষণার পরে অনেকেরই ভুল ধারণা ভেঙেছে। ডিজিটাল রেশন কার্ডে আধার সংযুক্তিকরণের সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে। তার সঙ্গে এও জানান হয়েছে যে এই কাজের সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও অনেক বাসিন্দাই ফের চিন্তায় পড়েছেন বলে দাবি। এই কারণেই সোমবার লাগামছাড়া ভিড় হয়েছিল বলে মনে করছেন খাদ্য দফতরের কর্মীদের একাংশ। জেলায় এ দিন রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করার কাজ শুরু হয়নি। খাদ্য নিয়ামক শুভাশিস পালিত বলেন, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’’

সোমবার শিলিগুড়িতে জেলা খাদ্য দফতরে ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন জমা দিতে গিয়েছেন সুভাষপল্লির বাসিন্দা গোবিন্দ চৌধুরী। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, ভর্তুকিযুক্ত খাবারের জন্য তাঁর ডিজিটাল রেশন কার্ডের প্রয়োজন নেই। তাহলে লাইনে কেন? তিনি বলেন, ‘‘আধার যুক্ত হওয়ার কথা শুনে আবার আবেদন জমা দিয়েছি। যদি কোনও কাজে লাগে। আগেও দু’বার হয়রান হয়েছিলাম।’’ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আয়ুব আলি জানান, চার বার আবেদন করার পরেও ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি। সেসব কাজ করতে তাঁর অনেক টাকা খরচ হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিন আবেদনের ফর্ম পেতে তাঁকে প্রায় ১ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সবই আছে। দিনমজুরি করে পেট চলে। কেন ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে না জানি না। যত হয়রানি হোক না কেন ডিজিটাল রেশন কার্ড বের করতেই হবে।’’

Advertisement

ডিজিটাল রেশন কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। শিলিগুড়ি মহকুমার শুধু চা বাগান এবং সংলগ্ন এলাকার প্রায় ৪০ হাজারের বেশি গ্রাহক ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement