সেতিঝোরায় চলছে ধস সরানোর কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
সিকিমের সঙ্গে সমতলের সংযোগকারী মূল সড়কপথ এখনও বন্ধ। সোমবার সন্ধ্যায় কালিম্পঙের সেতিঝোরার কাছে ধস নেমেছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। রাস্তার একটি অংশ ধসে তলিয়ে গিয়েছে তিস্তার জলে। সেই কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে শিলিগুড়ির সঙ্গে সিকিম সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেটিকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পাহাড় কেটে নতুন করে রাস্তার ওই অংশটুকু তৈরি করা হচ্ছে। সে বিষয়ে ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন।
সোমবার সন্ধ্যার ধসে সেতিঝোরার বাঁকে জাতীয় সড়কের একটি বড় অংশ তলিয়ে গিয়ে নদীর জলে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেখানে নতুন করে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ধসের স্তূপ সরাতে নামানো হচ্ছে আর্থ মুভার। গত বছরেও সেতিঝোরার একই জায়গায় ধস নেমেছিল জাতীয় সড়কে। তবে তখন পাহাড় কাটার পথে হাঁটেনি প্রশাসন। একের পর এক পাথরের জালি বসানো হয়েছিল তিস্তার বাঁকে এবং মেরামত করা হয়েছিল রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে চলছিল সেই কাজ। তবে এ বছর বর্ষার মরশুমে আবার ওই একই জায়গায় ধস। এমন অবস্থায় পাহাড় কেটে নতুন করে রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কালিম্পং জেলা প্রশাসন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ত দফতর থেকে এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। পাহাড় কেটে নতুন করে রাস্তার ওই অংশ নির্মাণে তিন দিন সময় লাগতে পারে। আগামী তিন দিন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
সিকিমের সঙ্গে সমতলের সংযোগকারী মূল সড়কপথ এটিই। সোমবার সন্ধ্যায় ধস নামার পর থেকে জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকেরাও। ঘুরপথে সিকিমে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ডুয়ার্সের গরুবাথান থেকে লাভা হয়ে কালিম্পং ও সিকিমের সঙ্গে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টির কারণে গত জুন-জুলাই মাসেও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছিল। সেই সময়েও এই সড়ক ধরে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তখন মেরামতির কাজ শেষে ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর ফের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় সড়ক।