ফাইল চিত্র
রবিবার জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শো-কজ করেছে রাজ্য বিজেপি। দল বিরোধী কাজের জন্য তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বললেন, ‘‘শো-কজ করেছে করুক না! যা করতে চায় ওরা, করুক। আমার সঙ্গে আরও অনেক নেতা বৈঠক করবেন। সারা পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা বৈঠক করবেন। সবাইকে কি বাদ দিয়ে দেবে? সব বিক্ষুব্ধদের বাদ দেওয়া কি সম্ভব?’’
রবিবার নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার গৈপুরে পুরমণ্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগানবাড়িতে আয়োজিত বনভোজনে গিয়ে এ কথা বলেন শান্তনু। মতুয়া-ক্ষোভ, হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ এবং নয়া রাজ্য ও জেলা কমিটি নিয়ে দলের অন্দরের বিক্ষোভের আবহে এ বার বিজেপি-র ‘বঞ্চিত’ কর্মীদের চাঙ্গা করতে রাজ্য জুড়ে তিনি চড়ুইভাতির কর্মসূচি নিতে চলেছেন বলেও সেখানে জানিয়েছেন তিনি।তখনও বিক্ষুব্ধ জয়প্রকাশ ও রীতেশকে শো-কজের খবর তাঁর কাছে এসে পৌঁছয়নি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু আগেই বলেন, ‘‘অনেক কর্মী আক্রান্ত হয়ে বসে গিয়েছেন। অনেক কর্মী নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাঁদেরকে উজ্জীবিত করতে এই সম্পর্ক-যাত্রার উদ্যোগ নিচ্ছি। আগামী দিনে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই পিকনিক হবে।’’ এর পর আশিসের বাড়ি থেকে বনভোজন সেরে বেরোনোর পরই শো কজের খবর পান তিনি।
বিজেপি-র নয়া রাজ্য ও জেলা কমিটিতে জায়গা না পাওয়া সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ, রীতেশ ও পাঁচ বিক্ষুব্ধ মতুয়া বিধায়ক-সহ এক ঝাঁক নেতার সঙ্গে শান্তনুর লাগাতার রূদ্ধদ্বার বৈঠকে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে দল। সেই নিয়ে টানাপড়েনের মাঝেই গত সোমবার বনগাঁয় বিক্ষুব্ধদের নিয়ে চড়ুইভাতিতে মেতেছিলেন শান্তনু। সেখানে উপস্থিতও ছিলেন সায়ন্তন, জয়প্রকাশ, রীতেশরা। দলকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে শান্তনু এ-ও বলেছিলেন, ‘‘সুরের থেকে যদি বেসুর শুনতে ভাল লাগে তা হলে মানুষের কাছে সেটাই গৃহীত হয়।’’
এর পর এই রবিবার জয়প্রকাশ ও রীতেশকে শো-কজ করল রাজ্য-বিজেপি।