বাগানবাড়িতে আয়োজিত বনভোজনে শান্তনু
মতুয়া-ক্ষোভ, হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ এবং নয়া রাজ্য ও জেলা কমিটি নিয়ে দলের অন্দরের বিক্ষোভের আবহে এ বার বিজেপি-র ‘বঞ্চিত’ কর্মীদের চাঙ্গা করতে রাজ্য জুড়ে চড়ুইভাতির কর্মসূচি নিতে চলেছেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। রবিবার নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার গৈপুরে পুরমণ্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগানবাড়িতে আয়োজিত বনভোজনে গিয়ে শান্তনু বললেন, ‘‘দলের বসে যাওয়া কর্মীদের উজ্জীবিত করতে এ বার রাজ্য জুড়ে পিকনিকের আয়োজন করা হবে।’’
বিজেপি-র নয়া রাজ্য ও জেলা কমিটিতে জায়গা না পাওয়া সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি ও পাঁচ বিক্ষুব্ধ মতুয়া বিধায়ক-সহ এক ঝাঁক নেতার সঙ্গে শান্তনুর লাগাতার রূদ্ধদ্বার বৈঠকে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে দল। সেই নিয়ে টানাপড়েনের মাঝেই গত সোমবার বনগাঁয় বিক্ষুব্ধদের নিয়ে চড়ুইভাতিতে মেতেছিলেন শান্তনু। দলকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সুরের থেকে যদি বেসুর শুনতে ভাল লাগে তা হলে মানুষের কাছে সেটাই গৃহীত হয়।’’
এর পর রবিবার আবার বনভোজনে গিয়ে শান্তনু বললেন, ‘‘অনেক কর্মী আক্রান্ত হয়ে বসে গিয়েছেন। অনেক কর্মী নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাঁদেরকে উজ্জীবিত করতে এই সম্পর্ক-যাত্রার উদ্যোগ নিচ্ছি। আগামী দিনে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই পিকনিক হবে।’’
গত সোমবার চড়ুইভাতিতে সায়ন্তন, জয়প্রকাশ, রীতেশদের মতো বিক্ষুব্ধরা উপস্থিত থাকলেও এ দিনের বনভোজনে তাঁদের কাউকেই দেখা যায়নি। এ বিষয়ে শান্তনু বলেন, ‘‘সব বৈঠকে সবাইকে থাকতে হবে নাকি? আমি আগামী দিনে আবারও জয়প্রকাশ মজুমদারদের নিয়ে বৈঠক করব। রাজ্য বিজেপি-তে যাঁরা বঞ্চিত তাঁদেরকে নিয়ে বৈঠক করব। যাঁদের উপর শাসকদল অত্যাচার করেছে, তাঁদের আবার এক জোট করব।’’ শেষে শান্তনু এ-ও জানান, সিএএ নিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে।