বাগডোগরা বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড়। — নিজস্ব চিত্র।
প্রবল বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে। তার জেরে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বাতিল করা হল ১৩ জোড়া বিমানের ওঠানামা। বিমান বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরাও।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যাপক বৃষ্টি হয় শিলিগুড়িতে৷ তার জেরে কমে যায় দৃশ্যমানতা। এর ফলেই উড়ান বাতিল করতে হয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে একটি বিমান উড়েছে এবং একটি বিমান অবতরণ নেমেছে ওই বিমানবন্দরে। এ ছাড়া আর কোনও বিমান ওঠানামা করেনি। মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ২৮টি বিমান ওঠানামার কথা ছিল৷ আবহাওয়ার জেরে বাকি ১৩ জোড়া বিমান বাতিল করা হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, বিকেল ৫টার পর বিমানের ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বিমান কলকাতায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিমান বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।
শিলিগুড়ি শহরে জমেছে জল। — নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি হয় দার্জিলিং, কালিম্পং, শিলিগুড়ি শহর, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। প্রবল বর্ষণের জেরে জল জমেছে শিলিগুড়ি শহরের বহু এলাকায়। শহরের বিধান মার্কেট, কলেজ পাড়া, অশোকনগর, নতুনপাড়া-সহ কয়েকটি এলাকায় জল ঢুকেছে। লাগাতার বৃষ্টি চললে পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃষ্টির জলে ফুঁসছে মহানন্দা, বালাসন, তিস্তা, জলঢাকার মতো নদীগুলি।
বৃষ্টির জেরে তথৈবচ অবস্থা জলপাইগুড়ির ১ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের। করোলা নদীর আশপাশের ওই এলাকায় জল ঢুকেছে। পরিস্থিতি এমন হয় যে বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করতে স্পিড বোট নামাতে হয় জলপাইগুড়ি পুরসভাকে। বর্ষণের জেরে ধূপগুড়ির জলঢাকার নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি করেছে সেচ দফতর।
স্পিড বোটে করে মানুষকে উদ্ধার। — নিজস্ব চিত্র।
দুর্যোগের মধ্যেই মঙ্গলবার সুকনার মেথিবাড়ির কাছে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি চলন্ত স্কুটির উপর গাছ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই যুবক প্রচণ্ড গতিতে শিলিগুড়ি থেকে সুকনার দিকে যাচ্ছিলেন। আচমকা ওই স্কুটির উপর গাছ পড়ে। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।