টিফিনের সময় মুখে রুমাল গুঁজে ক্লাস রুমের দরজা বন্ধ করে এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলের একদল ছাত্রের বিরুদ্ধে। তার নাম প্রীতম দাস। বুধবার সকালে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ওই প্রহৃত ছাত্রকে ভর্তি করে পরিবারের লোকেরা। প্রীতম ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। মঙ্গলবার টিফিনের সময় ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার হাইস্কুলে। প্রীতমের পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরিবারের তরফে পুরো ঘটনাটি জানিয়ে আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ছাত্রটির পরিবারের লোকজনের দাবি, ঘটনাটি স্কুলের এক শিক্ষককে জানানো হলেও তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। উল্টে ওই ছাত্রকে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। তবে পরের দিন অভিযুক্ত ছাত্রদের চিনিয়ে দিতে বলা হয়েছিল ওই ছাত্রটিকে। কিন্তু রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতে ঘটনাটি খুলে বলে ছাত্রটি।
আলিপুরদুয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু দত্ত বলেন, “ওই ছাত্রের পরিবার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” কিন্তু কেন তাকে এ ভাবে মারধর করা হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
আলিপুরদুয়ার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শান্তনু দাস জানান, মঙ্গলবার রাতে তাঁর ভাইপো বাড়িতে জানায় তারা সারা শরীরে ব্যথা। তখনই সে জানায় স্কুলের কিছু ছেলে তাকে বেধড়ক মারধর করেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বুধবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে, আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
প্রীতম জানায়, মঙ্গলবার টিফিনের সময় সে সবার সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল। পরে সে স্কুলের বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। সেই সময় আচমকাই ৫-৬ জন ছেলে তার মুখে রুমাল চাপা দিয়ে ক্লাস রুমের ভেতর নিয়ে যায়। ক্লাস রুমের দরজা বন্ধ করে তার হাত পা চেপে ধরে চলে কিল চড় লাথি মারে। কিছু পরে একটি ছেলে দরজায় ধাক্কা দেওয়ায় অভিযুক্তরা দরজা খুলে পালায়।