পরেশ অধিকারী। ফাইল চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতীক্ষা তালিকায় পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর এক নম্বরে উঠে আসা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আবার কাউন্সেলিংয়ে অঙ্কিতার না-যাওয়া নিয়েও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল।
প্রশ্ন উঠছে তবে কি চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত? বিষয়টি নিয়ে পরেশবাবু এবং তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা মুখ না খুললেও জানা গিয়েছে, কাউন্সেলিংয়ের জন্য অঙ্কিতা অধিকারীর ৩১ অগস্ট সল্টলেকের এসএসসি ভবনে হাজির থাকার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই দিন কাউন্সেলিংয়ে জাননি অঙ্কিতা।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত স্কুল সার্ভিস কমিশনের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের নিয়োগ তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পি জি ক্যাটাগরির তফসিলি জাতিভুক্ত যে প্রতীক্ষা তালিকা প্রথমে প্রকাশিত হয়, তাতে প্রথম নামটি ছিল ববিতা বর্মণের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিলেন যথাক্রমে লোপামুদ্রা মণ্ডল ও ছায়া রায়। কিন্তু ওই তালিকা প্রকাশের পর আরও একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে দু’নম্বরে চলে আসেন ববিতা বর্মণ। এক নম্বরে নাম দেখা যায় পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করে, ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পুরস্কার হিসেবে চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি পরেশবাবুর মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিতেই এই কাজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার পরেশবাবুকে প্রশ্ন করা হলেও এই বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অঙ্কিতা অধিকারীর সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তাঁকেও পাওয়া যায়নি। বিজেপির মেখলিগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি রাজীব সিংহ সরকার কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অঙ্কিতার সহপাঠীদের বক্তব্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। তবে তাঁরা জানান, অঙ্কিতা বরাবরই মেধাবী ছাত্রী।