উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হল রুরাল হেল্থ রিসার্চ সেন্টার। নিজস্ব চিত্র।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) অধীনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মডেল রুরাল হেল্থ রিসার্চ ইউনিটের কাজ শুরু হয়ে গেল। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজ়িজ়েস-এর (নাইসেড) মাধ্যমে ওই কাজ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জনাচারেক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এই সেন্টারে। সম্প্রতি তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। পাশাপাশি, বাকি কিছু পরিকাঠামো প্রস্তুতিও চলছে। গোটা উত্তরবঙ্গ এবং লাগোয়া এলাকায় রোগ সংক্রমণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে এই কেন্দ্রটি।
রোগের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণায় তথা এই কেন্দ্র চালাতে ১৫ সদস্যের লোকাল রিসার্চ অ্যাডভাইসরি কমিটি তৈরি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞেরা রয়েছেন, নোডাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর, নোডাল অফিসার, লিঙ্কড মেডিক্যাল কলেজ তথা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব হেল্থ রিসার্চের (ডিআইচআর) প্রতিনিধিরা রয়েছেন। রাজ্য বা আইসিএমআরের তরফে তাঁদের বিভিন্ন কাজের কথা জানানো হয়। তাঁরা খতিয়ে দেখে সম্মতি দেন। সেই মতো ‘ডিআইচআর’ আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
অতীতে শিলিগুড়িতে অজানা জ্বরে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে কয়েক বছর অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোমে কয়েকশো মানুষ মারা গিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কাজ করতে সে সময় এমস, নাইসেড থেকে টিম আনতে হয়েছিল। সে কারণে উত্তরবঙ্গে এ ধরনের কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে দাবি ওঠে দীর্ঘদিন ধরেই। এর আগে নাইসেড কেন্দ্র গড়তে জায়গা চেয়েছিল। কিন্তু পরে, তা হয়নি। এত দিনে সেই কাজ হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
নাইসেডের তরফে এই কেন্দ্রের নোডাল অফিসার সন্দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মডেল রুরাল হেল্থ রিসার্চ ইউনিট প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু করেছে। ধাপে ধীরে আরও কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’
নাইসেডের তরফে জানানো হয়, এখনই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নিরীক্ষা শুরু হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রোগ সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান চলছে। ইতিমধ্যেই সুকনা এবং তার উপরে পাহাড়ের কিছু জায়গায় প্রতিনিধি দল ঘুরে চিকিৎসক, বাসিন্দাদের মধ্যে সাধারণ ভাবে খোঁজখবর করেছে। জনস্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক দেখবে কেন্দ্রটি।