— প্রতীকী চিত্র।
ঝুঁকে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল আরপিএফের এক সাব-ইন্সপেক্টরের। আহত হয়েছেন আরপিএফের এক এএসআইও। শনিবার ঘটনাটি ঘটে মালদহের সামসি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুতের খুঁটিটি হেলে গিয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতর সময় মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঘটে গেল এত বড় দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎ দফতরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অন্তর্গত মালদহের সামসি স্টেশনের আরপিএফ ব্যারাক সংলগ্ন এলাকায় একটি বিদ্যুতের খুঁটি দীর্ঘদিন ধরেই হেলে পড়েছিল। শনিবার কোনও কারণে তা ভেঙে পড়ে রাস্তার উপর। সেই সময় বাইকে করে যাচ্ছিলেন আরপিএফের সাব-ইন্সপেক্টর রাজেশপ্রসাদ শ্রীবাস্তব। বাইকের পিছনে বসেছিলেন আরপিএফের এএসআই অর্জুন সিংহ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সামসি রেলস্টেশন আরপিএফ ব্যারাক সংলগ্ন এলাকায় শনিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সামসি আরপিএফ ব্যারাকের আইসি প্রকাশচন্দ্র রাকেশ জানিয়েছেন, বাইকে চেপে রাজেশ এবং অর্জুন কাজে যাচ্ছিলেন। কুলিপাড়ার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকে থাকা একটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে তাঁদের উপর। ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁরা। দু’জনকে উদ্ধার করে সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা রাজেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর যখম অবস্থায় এএসআই অর্জুনকে মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজেশের বাড়ি বিহারের মতিহারিতে। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির অনতিদূরে বাগডোগরাতে একটি বাড়ি করেছিলেন। সামসিতে স্ত্রী অনিতা, ছেলে অনিকেত এবং মেয়ে অনামিকাকে নিয়ে থাকতেন বছর ৫৫-এর রাজেশ। তাঁর অকালমৃত্যুতে পরিবার-সহ সামসি স্টেশনের কর্মী এবং আরপিএফ মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিদ্যুতের খুঁটিটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়ে থাকলেও বিদ্যুৎ দফতর তা নিয়ে কেন মাথা ঘামায়নি, এই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, বিদ্যুৎ দফতর সময় মতো বিদ্যুতের খুঁটিটি সারিয়ে দিলে হয়তো এ ভাবে চলে যেতে হত না রাজেশকে।