পুলিশ এবং জনতার খণ্ডযুদ্ধ। —নিজস্ব চিত্র।
পাথর বোঝাই ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুল পড়ুয়ার। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলল পথ অবরোধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো থেকে শুরু করে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হল পুলিশকে। পাল্টা উত্তেজিত জনতার পাথর এবং ইটের ঘায়ে জখম হলেন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়ার গঙ্গারাম চা-বাগানের খুঁটিপাড়া এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গঙ্গারাম চা-বাগান এলাকার দুই খুদে সাইকেলে করে স্কুলে রওনা দিয়েছিল। সম্পর্কে তারা দাদা ও ভাই। আচমকা পাথর বোঝাই একটি ট্র্যাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের সাইকেলে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট ভাইয়ের। ট্র্যাক্টরের চাকায় পিষে যায় সেন্ট পিটার্স প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া লিয়ন কুজুর (৫)। তার দাদা ইউনেস কুজুরের পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় ট্র্যাক্টরটি। গুরুতর জখম অবস্থায় আট বছরের বালককে ভর্তি করানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পড়ুয়ার দেহ নিয়ে প্রথমে বাগানের রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়েরা। পরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে শুরু হয় অবরোধ। প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক অবরোধ চলে। ঘটনাস্থলে যায় বাগডোগরা থানার পুলিশ। নামাতে হয় র্যাফ। গ্রামবাসীরা অবিলম্বে ট্র্যাক্টরের মালিক এবং চালকের গ্রেফতারির দাবি তোলেন। তবে দুর্ঘটনার পরেই অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছেন।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে অবরোধকারীদের হটাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। লাঠি চার্জও করা হয়। পাল্টা অবরোধকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট এবং পাথর ছোড়ে। প্রাণে বাঁচতে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০-২৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত চার পুলিশকর্মীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধারককে ফোন করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।