বিডিও-র চেয়ারে বসে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। —নিজস্ব চিত্র।
বিডিও–র অফিসে ঢুকে তাঁর চেয়ারে বসে বৈঠক করলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়ি পড়তেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। মন্ত্রীর এই আচরণ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্য দিকে, মন্ত্রী নিজে মনে করেন, এটাই শিষ্টাচার।
মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে তাঁর দায়িত্ব বোঝানোর সরকারি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে প্রাক্তন সভাপতি নতুন সভাপতিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। ওই অনুষ্ঠানে গিয়েই মন্ত্রী বিপ্লব বিডিও তীর্থঙ্কর ঘোষের চেয়ারে বসে কাজ করেন। বিরোধীদের বক্তব্য, মন্ত্রী গর্হিত আচরণ করেছেন। এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত সমাজমাধ্যমে নিন্দা করেন। যদিও তৃণমূল বিপ্লবের এই কাজে দোষের কিছু দেখছে না। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের কথায়, ‘‘এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে হয় না। বিপ্লববাবু এক জন বয়স্ক মানুষ। তাই সম্মান জানাতেই হয়তো নিজের চেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন বিডিও।’’ এ নিয়ে বিডিও-র প্রতিক্রিয়ার জন্য একাধিক বার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
সরকারি আধিকারিকের চেয়ারে বসে মন্ত্রী কি কাজ করতে পারেন? এই প্রশ্ন করা হলে বিপ্লব জানিয়ে দেন তিনি কোনও প্রটোকল বিরোধী কাজ করেননি। তাঁর কথায়, ‘‘মন্ত্রী ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের ঘরে গেলে তাঁকে বসতে দেওয়াটাই শিষ্টাচার। যাঁরা এই ছবিগুলো নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের লাভ কিছু হবে না। বরং ক্ষতিই হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একমাত্র ভোটের সময় বিডিও বা ডিএম রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকেন। তখন তাঁদের চেয়ারে বসা যায় না। সেটা হলে প্রটোকল বিরোধী ব্যাপার হত। কিন্তু মন্ত্রী ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের চেয়ারে বসলে সেটা দোষের কিছু নয়। এটা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করার জন্য প্রচার করছে বিরোধীরা।’’