মাঝরাতে ডাকাতি ব্যবসায়ীর বাড়িতে

খোলা দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে বাবা-ছেলের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বাড়ির যাবতীয় দামি সামগ্রী লুঠের অভিযোগ উঠল। চিৎকার করার চেষ্টা করায় তাঁদের বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কণুয়া-গোপালপুরে মঙ্গলবার মাঝরাতে এ ভাবেই ফের চুপিসাড়ে ডাকাতির করে পালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৫ ০২:২৫
Share:

চাঁচলের ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঘরের আসবাব তছনছ করে লুঠপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ছবি: বাপি মজুমদার।

খোলা দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে বাবা-ছেলের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বাড়ির যাবতীয় দামি সামগ্রী লুঠের অভিযোগ উঠল। চিৎকার করার চেষ্টা করায় তাঁদের বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কণুয়া-গোপালপুরে মঙ্গলবার মাঝরাতে এ ভাবেই ফের চুপিসাড়ে ডাকাতির করে পালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

তিন সপ্তাহ আগেও চাঁচলের দেবীগঞ্জে এক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পরে প্রতিবেশীরা তা জানতে পারেন। গত মঙ্গলবার চাঁচলের সুরতপুরেও সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করে পালায়। কণুয়া-গোপালপুরের ঘটনাতেও ফের একই রকম ভাবে লুঠপাট চালিয়ে দুষ্কৃতীরা গা ঢাকা দেওয়ার পর প্রতিবেশীরা ডাকাতির কথা জানতে পারেন। চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৮১ নম্বর জাতায় সড়কের কণুয়া বাজার থেকে ভিঙ্গোলগামী প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার পাকা রাস্তার পাশেই বাড়ি খগেন্দ্রনাথ সরকারের। রেশমের ব্যবসা ছাড়াও তাঁর কলা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে। গরমে রাতে ঘরের দরজা খোলা রেখেই ঘুমিয়েছিলেন তাঁর বড় ছেলে ডিটু। বাড়ির চার দিক উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকায় বিপদের আঁচ করতে পারেননি তিনি। পাঁচিল পেরিয়ে খোলা দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে আচমকাই মুখোশ পরা দুষ্কৃতীরা মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে বিছানা থেকে টেনে তোলে বলে অভিযোগ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়েই ঠান্ডা গলায় তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয় অন্য ঘর থেকে বাবা-মাকে ডাকতে। অভিযোগ, ছেলের গলা শুনে দরজা খুলতেই খগেনবাবুর মাথাতেও বন্দুক চেপে ধরে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের দেখে তাঁরা চিত্কার করার চেষ্টা করলে তাঁদের বেধড়ক মারধরও করা হয়।

অভিযোগ, তিনটি ঘরে ঢুকে নগদ ৩০ হাজার টাকা, এক ভরি সোনা ও পঁচিশ ভরি রুপোর অলঙ্কার-সহ এলসিডি টেলিভিশন, দামি বাসনপত্র, পোশাক লুঠপাট করে পালায় দুষ্কৃতীরা। খগেনবাবুর জানান, দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে ওই রাতে বাড়িতে ছিল না। বড় ছেলে ডিটু, তাঁর দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা ভেতরে ঢুকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে তাঁদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে লুঠপাট চালায়। খগেনবাবু বলেন, ‘‘আরও নগদ টাকা কোথায় জানতে চেয়ে ওরা বারবার হুমকি দিচ্ছিল। ওদের বলি চাবি তো দিয়েছি, নিজেরাই দেখে নাও। টাকা না মেলায় বাড়ির খাট, আলমারি, শোকেস শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে ওরা ভেঙে দেয়।’’ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ টাকা রয়েছে বলে দুষ্কৃতীদের কাছে কোনও আগাম খবর ছিল। পুলিশ জানায় দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement