নিজস্ব চিত্র
একটানা বৃষ্টি। ফুঁসছে নদী। যে কোনও সময় ভাঙনের কবলে পড়ে ভেসে যেতে পারে বাড়ি। এই আতঙ্কেই দিন রাত কাটছে গিলান্ডি নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের। গত বছর বর্ষায় নদীগর্ভে চলে গিয়েছিলো বেশ কয়েকটি বাড়ি। আর এ বারের বর্ষায় ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে প্রায় কুড়ি বছর পঁচিশ বিঘে চাষের জমি। সব মিলিয়ে ধূপগুড়ি ব্লকে আনুমানিক দু’শো থেকে তিনশো বিঘে আবাদি জমি নদী গর্ভে গিয়েছে। আরও কত জমি নদীতে যাবে, সেই আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছেন ধূপগুড়ির শালবাড়ির বাচ্চা গ্রামের বাসিন্দারা।
একই অবস্থা ধূপগুড়ির শালবাড়ির বাইশচালা গ্রামের বাসিন্দাদেরও। সবসময় তাড়া করছে আতঙ্ক। কখন নদীর জল বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এ বারের বর্ষায় ইতিমধ্যেই পাটের ক্ষেত নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা সন্ন্যাসী বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রতিবছরই ভোটের সময় আসেন। আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বাঁধ তৈরির ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা দেখান না।’’এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য রাকেশ রায় বলেন, ‘‘আমি জেলা পরিষদের সদস্য, প্রধান এবং ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত বাঁধ তৈরি করা হয়নি। প্রচুর চাষের জমি, বাড়ি নদীতে চলে গিয়েছে।’’
এ দিকে এই বিষয় নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মমতা সরকার বৈদ্য বলেন, ‘‘সেচ দফতরের মহকুমার সেচ আধিকারিককে এলাকার সমস্যার কথা বলা হলেও তিনি কোনওরকম সহযোগিতা করেননি। গতবছরও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এই বিষয়ে শেষ দপ্তরের মহকুমা অধিকারিক সুব্রত সুরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।