পদযাত্রায় ঋতব্রত-মৌসম। মনোজ মুখোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।
দিন তিনেক আগে মালদহের ইংরেজবাজারে জোটের সমর্থনে মিছিলে হেঁটেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য। শুক্রবার সকালেও একই বিধানসভা কেন্দ্রে জোট প্রার্থী নীহাররঞ্জন ঘোষের সমর্থনে পদযাত্রায় সামিল হলেন জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সাংসদ মৌসম নূর ও সিপিএমের রাজ্য সভার সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন দু’দলের সাংসদদের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। সিপিএম সাংসদ ঋতব্রতবাবুকে মালা পড়িয়ে সংবর্ধনা জানালেন ইংরেজবাজার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীরচকের কংগ্রেস কর্মীরা। আর মৌসমকে মালা পড়িয়ে সংবর্ধনা দেন ওই এলাকার সিপিএম কর্মীরা। কর্মী সমর্থকদের এই উদ্দীপনায় উচ্ছ্বসিত জোটের নেতারাও। সিপিএম নেতা ঋতব্রতবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যে মানুষকে বাঁচতে গেলে তৃণমূল সরকারকে হটাতে হবে। আর এবারে ক্ষমতায় আসবে মানুষের গণতান্ত্রিক জোট। গণতান্ত্রিক জোটের সরকার ক্ষমতায় আসলে চোর, চিটিংবাজদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে গরিব মানুষদের মধ্যে বিলি করা হবে।’’
ঋতব্রতবাবুর সুরে সুর মিলিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সাংসদ মৌসম নূরও। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি এই জোট মানুষ চাইছেন। কর্মী সমর্থকরাও জোট চাইছেন। জেলাতে তৃণমূলকে শূন্য করার দাবিও ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে।’’ এ দিনের জোটের মিছিলকে কটাক্ষ করে ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি জোট কোনও ফ্যাক্টর হবে না। মানুষ জানেন, কাকে ভোট দেবেন। তাই এখানে কে কি বলল তা নিয়ে আমরা ভাবছি না।’’
এদিন ইংরেজবাজারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীরচক মাঠে জমায়েত হন দুই দলের কর্মী সমর্থকেরা। ওই পদযাত্রায় প্রথম সামিল হন সিপিএমের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে সংবর্ধনা জানান স্থানীয় কর্মী সমর্থকরা। পদযাত্রা শুরুর আগে সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত কংগ্রেস ও সিপিএম দুই দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপর সামিল হন জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম নূর। ইংরেজবাজার শহরের ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা করেন তাঁরা।
এ দিনই, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের জোট প্রার্থী কংগ্রেসের আজিজুল হকের সমর্থনেও নির্বাচনী সভা করেন সিপিএম নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।