ফাইল চিত্র।
জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতায় বিমল গুরুংয়ের আমরণ অনশনের মধ্যেই শুক্রবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পরেই আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পাহাড়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। জিটিএ সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়ে মোর্চার তরফে নবান্নে যে খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তা-ও যাতে পুনরায় বিবেচনা করা হয়, তার দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।গত পুরভোটের পর দার্জিলিং সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ওই সফরে জিটিএ ভোট নিয়ে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। ওই বৈঠকেই মমতার কাছে মোর্চার দাবি ছিল, জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করা হোক। তার প্রেক্ষিতে মোর্চা নেতৃত্বকে খসড়া প্রস্তাবও দিতে বলেছিলেন মমতা। ঘটনাচক্রে, মোর্চা নবান্নে খসড়া প্রস্তাব পাঠানোর অব্যবহিত পরেই জুন মাসে ভোটের কথা জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। তার পরেও রাজ্য প্রশাসনের তরফে মোর্চার রাজনৈতিক সমাধানের দাবিদাওয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
নবান্নে যে খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তাতে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান হিসাবে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি করেছিল মোর্চা। এরই পাশাপাশি, আপাতত রাজনৈতিক সমাধানের পথও বাতলে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, জিটিএ চুক্তিতে যা যা দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছিল, তা পুরোপুরি দেওয়া হয়নি। সেই সব প্রশাসনিক, আর্থিক এবং নির্বাহী ক্ষমতা দিলে আপাতত রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব। আর যত দিন না সেই সমাধান হচ্ছে, তত দিন জিটিএ নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছিলেন মোর্চা নেতৃত্ব। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে আবারও অতীতের সমঝোতার কথা উল্লেখ করে ভোট স্থগিতের দাবি জানানো হল।
মোর্চার সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রিয়বর্ধন রাই বলেন, ‘‘আজ (শুক্রবার) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা সিংগামারিতে বৈঠকে বসেছিলেন। ওই বৈঠকের পরেই জিটিএ ভোট করানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখা হয়। পাশাপাশি, বিমল গুরুংকেও অনশন ভাঙার অনুরোধ করা হয়েছে।’’