অবশেষে প্রকাশিত হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফল।
মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা কমিটির বৈঠকের পর ১০৫ দিনের মাথায় ফলাফল ঘোষণা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক শ্যামাপদ মণ্ডল। গত বছরের তুলনায় এ বার পাশের হার কমেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ দিনের পরীক্ষা কমিটির বৈঠকের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ।
গৌড়বঙ্গের ওয়েবকুপার আহ্বায়ক সাধন সাহা বলেন, “উপাচার্য এখনও কাজে যোগ দেননি। অথচ তাঁকে ছাড়াই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করে ফলাফল প্রকাশ করা হল। এমনকী, পড়ুয়াদের মার্কশিটও তৈরি হয়নি।” যদিও নিয়ম মেনেই বৈঠক হয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্যামাপদবাবু।
তিনি বলেন, “এ দিন পরীক্ষা কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের পর ফলাফল ঘোষণা করেছি। প্রথম বর্ষের পাশের হার কিছুটা কমেছে। পাশের হার কমার কারণ নিয়ে কলেজগুলির সঙ্গে কথা বলা হবে।’’ এছাড়া মার্কশিটও খুব শীঘ্রই কলেজগুলিতে পৌঁছে যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের অধীনে তিন জেলায় মোট ২২টি কলেজ রয়েছে। গত, ২১ জুন প্রথম বর্ষের এবং ১০ অগষ্টে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়। যে এজেন্সির উপর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ভার তারা আর্থিক কারণে দেরি করছিল। এই নিয়ে লাগাতার ছাত্র আন্দোলন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকী, আন্দোলনের চাপে পরে ইস্তফা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র।
সোমবার ফলাফল প্রকাশের দাবিতে পরীক্ষা সমূহের নিয়ামকের দ্বারস্থ হয়েছিল একদল ছাত্র-ছাত্রী। এ দিন দুপুরে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসে কর্তৃপক্ষ। তারপরই প্রকাশিত হয় ফলাফল।
জানা গিয়েছে, প্রথম বর্ষের অর্নাসে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ হাজার ৬৯৪ জন। এ বার পাশের হার ৬৫.৫১ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৭৪.০৮ শতাংশ। পাশ কোর্সে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৯২০ জন। পাশ করেছেন ৬৮.৭০ শতাংশ পরীক্ষার্থী। গত বছর এই হার ছিল ৮৩.২৯ শতাংশ। দ্বিতীয় বর্ষের অর্নাসে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ২০১ জন। পাশের হার ৮৪.৯৭ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় সামান্য বেশি। তবে পাশের হার কমেছে পাশ কোর্সে। ২৩ হাজার ৩৭০ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৮৪.৩৫ শতাংশ পাশ করেছেন।
গত বছর এই হার ছিল ৯২.৯৬ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বার পাশের হার কমায় উদ্বিগ্ন শিক্ষা মহল। শ্যামাপদবাবু বলেন, “পাশের হার কমে যাওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত কলেজগুলির।”