প্রতীকী চিত্র।
সংরক্ষণের গেরোয় এবার জেলার একাধিক হেভিওয়েটের টিকিট ভাগ্য ঝুলে রইল। এই তালিকায় কোথাও খোদ পুরপ্রধান বা উপ পুরপ্রধান যেমন রয়েছেন, তেমনি বিরোধী ও শাসক দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাও রয়েছেন। শুক্রবার রাজ্যের পুরসভাগুলির আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর স্বাভাবিক কারণেই চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের কপালে। স্বস্তিতে নেই বিরোধীরাও।
নিজেদের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা। প্রাক্তন পুরপ্রধানের ছেলে তৃণমূলের কাউন্সিলর শুভজিৎ কুণ্ডুরও একই অবস্থা। দিনহাটায় ওই গেরোয় পড়েছেন উপ পুরপ্রধান শুভময় চক্রবর্তী এবং পাঁচবারের কাউন্সিলর টাউন তৃণমূল নেতা অসীম নন্দী। তুফানগঞ্জে তৃণমূলের পুরপ্রধান অনন্ত বর্মার আসন সংরক্ষিত হয়েছে। মাথাভাঙার উপ পুরপ্রধান চন্দন দাসের ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শাসক শিবিরের মতো বিরোধী দলগুলিও আসন বণ্টন নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে বলে খবর। কোচবিহার জেলায় ছ’টি পুরসভায় এবার নির্বাচন। কোচবিহারের সঙ্গে দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ এবং হলদিবাড়িতে ভোট হবে।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “আমরা নিজেদের মধ্যে ওই বিষয় নিয়ে শীঘ্রই আলোচনায় বসব। তবে কোথাও কোনও অসুবিধে হবে না।” জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কোথায় কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা ইতিমধ্যেই সব জায়গায় প্রচার শুরু করেছি।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “বাস্তবতার উপর দাঁড়িয়ে আসন সংরক্ষণ হলে আমাদের কিছু অসুবিধে নেই। সেক্ষেত্রে আমরা নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেব।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তালিকা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব।”
তৃণমূলের তুফানগঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূল নেতা অনন্ত বলেন, “সরকারি ভাবে যা হওয়ার হয়েছে।” অন্য কোনও ওয়ার্ড থেকে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন আপনি? অনন্ত এর জবাবে বলেন, “ওই বিষয়ে দল ঠিক করবে।”