জলে ভাসছে সংসার

মালদহের রতুয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের একাধিক এলাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৩৮
Share:

চাঁচলে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র

চরম বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে গঙ্গা ও ফুলহার। ফলে মালদহের রতুয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের একাধিক এলাকা। জলের প্রবল তোড়ে বৃহস্পতিবার সকালে কাহালায় ফুলহারের বাঁধ ভেঙে যায়। নদীর জল আরও বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবারও প্রবল গতিতে জল ঢুকছে এলাকাগুলিতে। ফলে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। রতুয়ায় রাজ্য সড়কে জল বইছে।

Advertisement

জলে ডুবে গিয়েছে রতুয়া, দেবীপুর, কাহালা, বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক রাস্তাঘাট। ফলে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ঘরদোরে জল ঢুকে পড়ায় রাস্তার পাশে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। পাশাপাশি নদী বাঁধের ওপারে যা অসংরক্ষিত এলাকা বলে পরিচিত, রতুয়ার সেই মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের ইসলামপুর ও দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকা।

শুক্রবার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, সভাধিপতি। একাধিক এলাকায় দুর্গতদের হাতে নিজেই ত্রাণ তুলে দেন মন্ত্রী ও জেলাশাসক। তবে দুর্গতদের অনেকেরই এখনও ত্রান মেলেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, ‘‘বন্যায় বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দুর্গতদের প্রত্যেকেই যাতে ত্রাণ পান তা প্রশাসনকে দেখতে বলেছি।’’ মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ দিনও ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকেই ত্রাণ পাবেন।’’

সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ফুলহারের জল চরম বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপরে উঠে গিয়েছে। পাশাপাশি চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গাও।

কিন্তু সেচ দফতরের মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্টের নির্বাহী বাস্তকার বাদিরুদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘দুই নদীর জল বাড়ছে। যা পরিস্থিতি জল না কমলে বাঁধ সংস্কার কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।’’ তেরশিয়ার জহরলাল সিংহ, রাজেশ সিংহ বলেন, ‘‘খাটের উপরে সংসার। ত্রাণও পাইনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement