Crime

নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূলের উপ-প্রধান

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূলের ওই উপ-প্রধানের নাম প্রদীপ সূত্রধর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২০ ০৫:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

আদিবাসী এক নাবালিকাকে টানা দু’বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, বছর পনেরোর ওই নাবালিকা দু’বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অভিযুক্ত উপ-প্রধান দু’বারই তার গর্ভপাত করান। মাদারিহাটের খয়েরবাড়ির ঘটনা। অভিযুক্ত শাসকদলের উপ-প্রধান হওয়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতারা। বিষয়টিকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার বিকালে মাদারিহাট থানা ঘেরাও করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূলের ওই উপ-প্রধানের নাম প্রদীপ সূত্রধর। শুক্রবার ওই নাবালিকা মাদারিহাট থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ করে, কাজের সূত্রে চার বছর আগে তার বাবা-মা নেপালে যান। সেই সময় প্রদীপ তাকে তাঁর বাড়িতে রাখেন। সেখানে থাকতে নাবালিকার কোনও অসুবিধা হবে না বলে নাবালিকার বাবা-মাকে আশ্বস্ত করেন প্রদীপ। সে কথা তাঁরা বিশ্বাসও করেন। নাবালিকার অভিযোগ, গত দু’বছর ধরে প্রদীপ তাকে ধর্ষণ করেন। দু’বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে দু’বারই গর্ভপাত করান প্রদীপ, দাবি তার।

এ দিন পুলিশের কাছে নাবালিকা অভিযোগ জানানোর পর থেকেই বেপাত্তা প্রদীপ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন বিকেলে মাদারিহাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজুর অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূলের উপ-প্রধান হওয়ায় পুলিশ তাঁকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় একটা অভিযোগ হয়েছে শুনেছি। পুলিশ নিশ্চয়ই ঘটনার তদন্ত করবে। আদালত বিচারও করবে। অভিযুক্ত দোষী হলে অবশ্যই আইন শাস্তি দেবে।’’ দলের তরফে উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? মৃদুল বলেন, ‘‘দল এ ধরনের ঘটনা কখনও প্রশ্রয় দেয় না। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি।’’

বিষয়টি নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা নিয়ে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও উত্তর দেননি। তবে জেলা এক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement