tmc

রাজবংশী অঙ্কে উত্থান মিতালিদের

জেলার নেতা-কর্মীদের একাংশের দাবি, খগেশ্বর রায়কে চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে জেলার গোষ্ঠী রাজনীতিতে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, খগেশ্বর এবং মিতালি দুই বিধায়কই রাজবংশী সম্প্রদায়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ০৫:২৮
Share:

খগেশ্বর রায় ও মিতালি রায়—ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের জলপাইগুড়ির জেলা কমিটির চেয়ারম্যান হলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। জেলার কো-অর্ডিনেটর পদে চন্দন ভৌমিকের সঙ্গে আনা হল ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়কে। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, জেলায় দল কী ভাবে পরিচালনা করা হবে, তার বার্তা এই সিদ্ধান্তে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। জেলার নেতা-কর্মীদের একাংশের দাবি, খগেশ্বর রায়কে চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে জেলার গোষ্ঠী রাজনীতিতে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, খগেশ্বর এবং মিতালি দুই বিধায়কই রাজবংশী সম্প্রদায়ের। এক সময়ে মিতালি রাজবংশী আন্দোলনের নেতৃত্বেও ছিলেন। আগামী বিধানসভা ভোটে রাজবংশীদের সমর্থন পেতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জলপাইগুড়ির পুরসভার প্রশাসক বোর্ড থেকে বাদ পড়ে জেলা কমিটির বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছিলেন বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু। জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর নেতৃত্বে তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা দল করবেন না বলে ঘোষণা করেছিলেন মোহন। দলের একাংশের আশা ছিল, রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে মোহনকে কোনও কমিটিতে রাখা হবে। তবে এ দিনের রদবদলে তা হল না। ‘বিদ্রোহী’ মোহনবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ও। যদিও তাঁকেই দলের রাজ্য নেতৃত্ব জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন। দলের এক নেতার কথায়, “বোঝা যাচ্ছে, রাজ্য নেতৃত্ব চাইছেন, সমন্বয় রক্ষা করে সংগঠন মজবুত করা হোক।’’
সম্প্রতি এশিয়াডে সোনা জয়ী স্বপ্না বর্মণের বাড়িতে বন দফতরের তল্লাশির বিরুদ্ধে রাজবংশী সমাজ প্রতিবাদে মুখর হয়। তা বাড়তে না দিয়ে দ্রুত তৃণমূল নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করেন। গত লোকসভা ভোটে দলের বহু রাজবংশী ভোট বিজেপিতে চলে গিয়েছে বলে নেতাদের একাংশের দাবি। এ দিনের রদবদলে রাজবংশী সমাজে দলের কর্তৃত্ব অটুট রাখতেই দুই নেতাকে সামনের সারিতে আনা হল বলে মনে করা হচ্ছে। সৈকত চট্টোপাধ্যায় যুব সভাপতি ছিলেন, এখনও তাই রইলেন।
দীর্ঘদিন জলপাইগুড়ি জেলায় পর্যবেক্ষক ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এ দিনের রদবদলে পর্যবেক্ষক পদটিই তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলায় সংগঠন দেখভালের দায়িত্বে মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং পূর্ণেন্দু বসুকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহ দু’য়েক আগেই অরূপ বিশ্বাস জলপাইগুড়িতে এসে জেলা কমিটি ঘোষণা করেছিলেন। এক রাত জলপাইগুড়িতে থেকে জলপাইগুড়ি শহর থেকে শুরু করে ময়নাগুড়ি, মাল, ধূপগুড়ির সব গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে নানা আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রদবদলে পর্যবেক্ষক পদটি তুলে দেওয়ায় সে সব আশ্বাসের কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত দলের একাংশ। তাতে নতুন সমস্যার মেঘও ঘনাতে পারে, মনে করছেন কেউ কেউ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement