রুদ্ধদ্বার: কোচবিহার রাজবাড়ি। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
সকাল থেকেই সাজ সাজ রব। দিঘি-পার্কের চারপাশ থেকে আগাছা কাটার কাজ শুরু হয়েছে। ধুলোর আস্তরণ সরিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে বিলিয়ার্ড বোর্ড। পুরনো বিগ্রহ পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে। আজ, সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে কোচবিহারের রাজবাড়ি। রাজবাড়ির দায়িত্বে থাকা পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিক চুনচুন কুমার বলেন, “সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকেরা রাজবাড়িতে যাতায়াত করতে পারবেন।”
কোচবিহার রাজবাড়িতে দেশ-বিদেশের নানা জায়গা থেকে পর্যটকেরা আসেন। পুরাতত্ত্ব বিভাগ সূত্রেই জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে রাজবাড়িতে প্রতিদিন দেড় থেকে দু’হাজার পর্যটক আসতেন। রাজবাড়ির ভিতরে মিউজিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে রাজার ব্যবহার করা নানা জিনিসপত্র রয়েছে। রাজাদের নানা সময়ের ছবি রয়েছে। এ ছাড়াও সেই সময় রাজার অস্ত্রাগারে থাকা অস্ত্র নিয়েও মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে। কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত নানা জিনিসপত্র, পুরনো বিগ্রহের মিউজিয়ামও রয়েছে। রাজ আমলের কয়েন দিয়েও একটি গ্যালারি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। আর রয়েছে রাজবাড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তবে লকডাউনে সুনসান হয়ে পড়েছিল ওই এলাকা। রাজবাড়ির সামনে অস্থায়ী দোকানও রয়েছে অনেকের। তাঁরাও সমস্যায় পড়েছিলেন।
সব মিলিয়ে রাজবাড়ি ফের খুলছে জানতে পেরে খুশির আবহ তৈরি হয়েছে। অবশ্য তার মধ্যেই সবাই সতর্কতা অবলম্বনের কথাও বলছেন। কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “লকডাউনে রাজবাড়িও বন্ধ হয়ে যায়। সবাই রাজবাড়ি খোলার অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে রাজবাড়ি খুলছে। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। এটা কিন্তু খুব জরুরি।”