পাহাড়ে বৃষ্টি। নিজস্ব চিত্র
ভারী বৃষ্টি। কিন্তু তাতে পাহাড় ভ্রমণে আটকানো যাচ্ছে না পর্যটকদের। দার্জিলিং, কালিম্পং তো বটেই ব়ষ্টি শুরু হয়েছে সিকিমেও। তার জেরে ধসও নেমেছে কয়েক জায়গায়। কিন্তু তাতে পর্যটকদের গত ব্যাহত হয়নি। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই তাঁরা ঘুরছেন। কখনও ছাতা মাথায় হেঁটে, আবার কখনও গাড়িতে চড়ে চলছে তাঁদের পাহাড় ভ্রমণ। পর্যটকদের এমন মেজাজ উত্তর এবং পূর্ব সিকিমেও।
পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। তা দেখে সাময়িক মন খারাপ হয়েছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের। মনে আশঙ্কা ছিল, এই বৃষ্টি বোধহয় ব্যবসায় কোপ ফেলবে। কিন্তু সেই আশঙ্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে পর্যটকদের মেজাজ। প্রবল বৃষ্টি মাথায় নিয়েই দার্জিলিং , কালিম্পং এবং সিকিম চষে ফেলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এখন সেখানে তিলধারণের স্থান নেই।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলছেন, ‘‘প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকি। ধসে খানিকটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিকিমের বেশ কিছু এলাকা। কিন্তু তার পরেও পর্যটকদের থামানো যাচ্ছে না। আজও বাগডোগরা বিমানবন্দর, এনজেপি রেল স্টেশনে বহু পর্যটক পাহাড়ে এসে পৌঁছেছেন। পাহাড়ের বৃষ্টি তাঁরা উপভোগ করছেন। তাঁদের কেউ কেউ তো বলছেন, যা হবে দেখা যাবে।’’ পর্যটন ব্যবসায়ীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, এই ‘সুখের মরশুম’ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। জুন পেরোলে কমবে পর্যটকের সংখ্যা।