রেণু খাতুনকে ‘নন নার্সিং’ চাকরি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রেণু খাতুনকে পূর্ব বর্ধমানেই ‘নন নার্সিং’ চাকরি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই মর্মে নিয়োগপত্রও তৈরি হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘‘আমরা রেণুকে পূর্ব বর্ধমানে নন নার্সিং কাজে লাগাচ্ছি। ওর ডান হাত না থাকায় ও নার্সের কাজ করতে পারবে না। অন্য কোনও কাজ করবে।’’
মমতাই জানান, রেণুকে সেই সরকারি চাকরিতে বহাল করার বিষয়ে নিয়োগপত্রও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তারই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের যাতে কঠোর শাস্তি হয়, তার প্রতিও নজর দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘যাদের ধরা হয়েছে, তাদেরও কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’’
প্রসঙ্গত, বুধবারেই মুখ্যমন্ত্রী রেণুর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, রেণুর উপযুক্ত কাজ, চিকিৎসার খরচ এবং কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করবে সরকার। তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় গিয়ে দেখা করেছেন ওই তরুণীর সঙ্গে। নার্সিং পরীক্ষার প্যানেলের ২২ নম্বরে নাম ছিল ওই তরুণীর। তার ডান হাত নেই। তাই সে যে কাজটা করতে পারে, আমরা তারই ব্যবস্থা করব।’’ রাজ্য সরকার রেণুর চিকিৎসার খরচ দেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘‘ওই তরুণী যেখানে চিকিৎসা করিয়েছেন, সেখানে ৫৭ হাজার টাকা নিয়েছে। এটা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হয়নি। কেন হয়নি তা দেখছি। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছি।’’
শনিবার রাতে রেণুর ডান হাতটি কব্জি থেকে কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী শের মহম্মদের বিরুদ্ধে। পুলিশ শের মহম্মদকে গ্রেফতার করেছে। রেণুর হাত কেটে নেওয়ার বিষয়ে তাঁর স্বামী আরও দু’জনের ‘সহায়তা’ নিয়েছিল। তাদেরও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রেণু আপাতত দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডান হাত কার্যত অকেজো হয়ে যাওয়ায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীনই বাঁ হাতে লেখা অভ্যাস করা শুরু করেছেন রেণু।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।