ছবি: সংগৃহীত
রেল চলাচল শুরু করার অনুমোদন না মেলায় চালু করা যায়নি নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় গড়ে ওঠা ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপো (আইসিডি) বা প্রাইভেট ফ্রেট টার্মিনাল (পিএফটি)। তাতে বছরে ৪ হাজার কোটি টাকার সামগ্রী আনা-নেওয়ার কাজ চালু হচ্ছে না এই বন্দরে। হচ্ছে না কর্মসংস্থান। আর্থিক লোকসানও হচ্ছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের উত্তরবঙ্গ শাখার অভিযোগ, কাজ চালু না হওয়ায় প্রতিদিন রেলের ২৩ লক্ষেরও বেশি টাকার লোকসান হচ্ছে। এই সমস্যা মেটাতে রেলমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাকে তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে অগ্রগতি না দেখতে পেলে সরাসরি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলা হবে বলে জানান তারা।
দার্জিলিঙের সাংসদ বলেন, ‘‘রেলমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চিঠি দিয়েছি। সমস্যা মেটাতে তাঁর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।’’ এই আইসিডি কলকাতা বন্দরের সাগরমালা প্রকল্পের অধীনে। সিআইআই’র উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান সঞ্জিত সাহার অভিযোগ, কলকাতা বন্দর সূত্রে যে হিসেব মিলেছে, তাতে উত্তরবঙ্গ-সহ উত্তর পূবার্ঞ্চলের রাজ্যগুলোর রফতানিকারকদের সামগ্রী নিয়ে মাসে ১৫০০ কন্টেনার জাহাজে কলকাতা বন্দরে আসে। তেমনি রফতানিকারকদের ৮০০ কন্টেনার কলকাতা বন্দর হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যায়। সঞ্জিত বলেন, ‘‘বন্দর চালু না হওয়ায় আর্থিক লোকসান হচ্ছে। রেল চালু হলে রেলের যে আয় হতো তা হচ্ছে না। লোকসান হচ্ছে।’’ এখন বন্দর থেকে সড়ক পথেই তা আনা-নেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ির এই আইসিডি চালু হলে কলকাতা বন্দরের উপর নির্ভরতা কমবে। সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হবে।
যে সংস্থা আইসিডি চালানোর দায়িত্ব পেয়েছেন তারা ৩০ কোটি টাকা খরচে পরিকাঠামো গড়েছে। রেল লাইনও পাতা হয়েছে। ‘ট্রায়াল রান’ও হয়েছে। রেলের দাবি, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালে ৩০ একর জমি নেয় প্রকল্পের। পরে তা দিল্লির একটি সংস্থাকে আইসিডি বা পিএফটি তৈরির জন্য দেওয়া হয়। রেলের নতুন নিয়মে আইসিডি করা গেলেও পিএফটি করা যাবে না। এই নিয়ে সংস্থাটি গুয়াহাটি হাইকোর্টে একটি মামলা করেছে।