রেলগেটের জেরে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়। তার উপর সম্প্রতি শুরু হয়েছে রেলগেটের কাজ। যার জেরে যানজটের সমস্যা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের।
রেলগেটের কাজের জন্য ডালখোলাতে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত রেলগেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ডালখোলার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে পড়েছে ভিনরাজ্যের বহু দূরপাল্লার ট্রাক। যানজটের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘‘ডালখোলাতে প্রতিবছরই ওই রেল লাইনের মেরামতির কারণে প্রায় ৬ দিন রাতে বন্ধ রাখা হয়।’’ তবে ওই কাজের অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি। ডালখোলায় বাইপাসের কাজ হয়ে গেলে রেলগেট বন্ধ থাকলেও আর কোনও সমস্যা থাকবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ডালখোলা এলাকার ওই জাতীয় সড়ক দিয়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার ট্রাক চলাচল করে। কিন্তু ওই রেলগেটের উপর দিয়ে দিনে গড়ে ৬৫ জোড়া ট্রেন চলাচল করায় সেখানে প্রায় ১০ ঘণ্টা রেল গেট খোলা পাওয়া যায়। ফলে এমনিতেই তীব্র যানজট লেগে থাকে। এর সঙ্গে রাতে রেলগেট বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলি যাতায়াত করতে পারছে না। সকালে সেই ট্রাকের জন্য এলাকার যানজট আরও তীব্র হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই এমন ঘটনার জেরে তীব্র সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সেই যানজট কাটাতেও ১০ দিনের বেশি সময় লেগে যায়।
তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, ডালখোলা ওই রেলগেটের যানজট এড়াতে ছোট গাড়িগুলিকে করণদিঘির বোতলবাড়ি ও দোমহনার রাজ্য সড়ক দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যানজট এড়াতে প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন। ইসলামপুরের এসডিপিও প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে রাজ্য সড়ক দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।’’
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতিবছরই কাজের জন্য রেলগেট বন্ধ রাখার প্রভাব পড়ে ব্যবসায়ে। তাঁদের আরও অভিযোগ, এক দিকে টাকার সমস্যা অপর দিকে যানজটের কারণে ডালখোলাতে পণ্য আসতে সময় লাগায় ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে ওই এলাকাতে। একই অভিযোগ করে সমস্যার দ্রুত সমাধান দাবি করেছেন ডালখোলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পবন অগ্রবালও।