প্রতীকী ছবি।
হোয়াটসঅ্যাপে একটা দড়ির ছবি। সঙ্গে বার্তা— ‘বিয়ের পিঁড়িতে বসলে এই দড়ির ফাঁস গলায় পেঁচিয়ে খুন করা হবে তোমাকে।’
অভিযোগ, মোবাইলে এমনই খুনের হুমকি পেয়ে বিয়েতে বেঁকে বসেন পাত্র। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে পাত্রকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে শুক্রবার থানায় নালিশ ঠুকেছেন এক তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকা থেকে উধাও হয়েছে অভিযুক্ত বাংরু মণ্ডল।
তদন্তকারীরা জানান, বাংরুর বাড়ি রায়গঞ্জের বড়বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলটুলি এলাকায়। অভিযোগকারিণী অনিতা রায়ের বাড়ি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বামনগ্রামে এলাকায়। অভিযুক্তের সঙ্গে ওই তরুণীর আগে কোনও সম্পর্ক ছিল কিনা, তা দেখছে পুলিশ। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। তার পরে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।
অনিতার দাবি, তিন মাস আগে কালিয়াগঞ্জের পূর্ব আখানগরের বাসিন্দা রংমিস্ত্রি গোবিন্দ রায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ের কথা ছিল। অনিতার অভিযোগ, ২০ ফেব্রুয়ারি গোবিন্দকে ফোন করে খুনের হুমকি দেন বাংরু। অনিতার কথায়, ‘‘গোবিন্দকে ফোন করে বলা হয়, আমাকে বিয়ে করলে বাংরু ওঁকে খুন করবে। গোবিন্দকে হোয়্যাটসঅ্যাপে একটি দড়ির ছবি পাঠিয়ে লেখা হয়, আমাকে বিয়ে করলে সেই দড়ি গলায় পেঁচিয়ে গোবিন্দকে খুন করা হবে।’’
অভিযোগ, পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনিতার ছবি নিয়ে, সেটির সঙ্গে নিজের ছবি জুড়ে দেয় বাংরু। সে সব ছবিও পাত্রকে পাঠানো হয়। ওই তরুণীর নালিশ, হুমকিতে ভয় পেয়ে বিয়েতে অস্বীকার করেন গোবিন্দ। একাধিক বার অনুরোধ করলেও তিনি আর বিয়েতে মত দেননি। অনিতার দাবি, বাংরুর সঙ্গে তাঁর কখনও কোনও সম্পর্ক ছিল না।
অনিতার বাবা কয়ালের কথায়, ‘‘বাংরুর জন্য মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেওয়ায় আমাদের প্রায় ১০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে অভিযুক্ত যাতে মেয়ের বিয়ে ফের ভেঙে দিতে না পারে, সেই বিষয়ে আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেছি।’’