তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য —নিজস্ব চিত্র।
রায়গঞ্জের প্রবীণ ক্রীড়াবিদ তথা সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী তারাশঙ্কর ভট্টাচার্যকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে তারাশঙ্করের বাড়িতেই তাঁকে মারধর করে ছেলে রাজর্ষি ভট্টাচার্য। পরে আহত তারাশঙ্করকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত ২টো নাগাদ তারাশঙ্কর (৮৩)-কে ডাশা জাতীয় কোনও ভারী বস্তু দিয়ে মারধর করে রাজর্ষি। অভিযুক্ত রাজর্ষি তার বাবার সঙ্গে থাকতেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, মদ্যপান করে স্ত্রী-এবং তারাশঙ্করকে আগেও মারধর করেছে রাজর্ষি। সেই অত্যাচারে রাজর্ষিকে ছে়ড়ে চলে যান তার স্ত্রী। স্ত্রী-র সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও চলছে। রবিবার গভীর রাতে তারাশঙ্করকে মারধরের পর তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে তাঁর মোবাইল ফোন থেকে দিদি স্বাতীকে যোগাযোগ করে রাজর্ষি। ছেলে সায়ন বণিককে নিয়ে দ্রুত বাবার বাড়িতে এলে তারাশঙ্করকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্বাতী। তা দেখেই চিৎকার করে ওঠেন স্বাতী। এর পর তারাশঙ্করও চিৎকার করতে থাকেন। অভিযোগ, সে সময় সায়ন এবং স্বাতীকেও মারধর করে রাজর্ষি। তখনকার মতো সেখান থেকে তাঁরা চলে যান। এর পর স্থানীয়দের নিয়ে ফিরে এলে দেখেন, রাজর্ষি সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। আহত বৃদ্ধকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তারাশঙ্করের জামাই বিশ্বজিৎ বণিকের অভিযোগ, বৃদ্ধকে খুন করেছে তাঁর ছেলে। পাশাপাশি, রাজর্ষির বিরুদ্ধে স্ত্রী স্বাতী ও ছেলে সায়নকেও মারধরের অভিযোগ করেছেন বিশ্বজিৎ। এই ঘটনায় রাজর্ষির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও করেছেন তিনি।