Manas Bhuiyan

বালি মাফিয়াদের বেআইনি কারবার বন্ধ করবই, মেদিনীপুরে ঘোষণা মানসের

মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এসে এ বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১৯:৫৬
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে মানস ভুঁইয়া ও জুন মালিয়া। নিজস্ব চিত্র।

বালি পাচার চক্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সওয়াল করলেন রাজ্যেরা জল সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এসে এ বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিতে এসে মেদিনীপুর শহরে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, ‘‘নদীগুলি থেকে অসাধু উপায়ে বালি তোলা হচ্ছে বলে খবর রয়েছে। কোনও ভাবেই নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলা যাবে না। অবৈধ বালি পাচার চক্রের তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনকে পদক্ষেপ করতে হবে। তা ছাড়া আমাদের দফতরের পক্ষ থেকেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’

Advertisement

বালি মাফিয়াদের কারণে সরকারের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানান মানস। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া।

মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় ঘুরে ব্লক ধরে ধরে পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করেছেন মানস ভুঁইয়া। মঙ্গলবার কেশপুর, মেদিনীপুর এবং শালবনি ব্লকের বৈঠক করেন তিনি। চন্দ্রকোনা এবং দাসপুর ব্লকের বৈঠক আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই করবেন বলেও জানিয়েছেন। এর পর হবে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন জেলায় পর্যালোচনা বৈঠক।

Advertisement

মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগর এলাকায় এ দিন মেদিনীপুর সদর এবং শালবনি ব্লককে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। মানসের কথায়, ‘‘জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার বা জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলে হয়ে যেত। কিন্তু নিচুতলার কর্মীদের আধিকারিকদের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলা বা পর্যালোচনামূলক বৈঠক করার প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণেই ব্লক স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন।’’

মানস জানালেন, প্রতি ব্লকে এই জন্য একটি করে কমিটিও তৈরি করে দিচ্ছেন তিনি। কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন এলাকার বিধায়ক, আহ্বায়ক বিডিও। মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে থাকছেন মহকুমা শাসক। এ ছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, থানার ওসি,আইসি রা থাকছেন কমিটিতে। ১৫ দিন অন্তর এই কমিটিকে বৈঠকে বসে পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মানস জানিয়েছেন,তাঁর দফতরের কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারের অভাব রয়েছে। শূন্য পদগুলি পূরণ করার জন্য প্রথা মেনে নিয়োগ করা হবে। নদী থেকে জল তোলার ক্ষেত্রে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎচালিত বা অন্য কোনও বিকল্পের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার চালু করারও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পটি কেউ আরও কার্যকর করার কথাও জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement