রায়গঞ্জ মেডিক্যালের এসএনসিইউ ওয়ার্ডের বাইরে অসুস্থ শিশুদের উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র
দুই দিনাজপুর ও মালদহে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতায় উদ্বেগ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই উত্তর দিনাজপুর ও মালদেহর বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু বিভাগে শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে, এক শয্যায় দু’জন করে শিশুকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে, শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। যদিও তিন জেলার স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এখনও পর্যন্ত তিন জেলায় কোনও শিশুর অ্যাডিনোভাইরাস নির্ণয়ের জন্য নমুনা পাঠানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
রায়গঞ্জ মেডিক্যালের শিশুবিভাগে শুক্রবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৪ জন শিশু ভর্তি ছিল। সেখানে ও মেডিক্যালের ‘সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’ (এসএনসিইউ)-এ মিলিয়ে ৬০টি শয্যা রয়েছে। এ দিন ওই ৬০টি শয্যা মিলিয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত একশো জন শিশু ভর্তি ছিল বলে মেডিক্যাল সূত্রের খবর। মেডিক্যালের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, “জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের জন্য এ দিন মেডিক্যালে একটি আলাদা শিশু বিভাগ চালু করা হয়েছে। জায়গার অভাবে শিশু বিভাগ ও এসএনসিইউ ইউনিটে শয্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।”
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল ও গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিভাগে অবশ্য এখনও শয্যার অভাব দেখা দেয়নি। এ দিন ওই দুই হাসপাতাল মিলিয়ে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট মিলিয়ে ৪৮ জন শিশু ভর্তি ছিল। দু’টি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক জন করে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ‘অন-কল’-এ রাখা হয়েছে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপারহ কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগের বক্তব্য, “পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হয়েছে।”
অন্য দিকে, মালদহ মেডিক্যালের শিশু বিভাগে ১২০টি শয্যা রয়েছে। সেখানে এক-একটি শয্যায় শিশু ও মা-সহ চার জন করে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেডিক্যাল সূত্রের খবর, জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন করে শিশু মেডিক্যালে ভর্তি হচ্ছে। মেডিক্যালে ১০ শয্যার ‘নিওনেটাল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ (এনআইসিইউ) ও ১২ শয্যার ‘পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ (পিআইসিইউ) ওয়ার্ড রয়েছে। মেডিক্যালের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘পিআইসিইউ’ ওয়ার্ডে ১২টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। মেডিক্যালের সুপার পুরঞ্জয় সাহা বলেন, “অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে এখনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।”