ধূপগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কাজ খতিয়ে দেখলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র
উত্তরবঙ্গে এসে রাজ্যের হাসপাতাল নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল। তাঁকে এ বার ‘হাফ প্যান্ট মন্ত্রী’ বলে পাল্টা আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এমনকি ব্যক্তিগত আক্রমণ করে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ওঁর নাম প্রহ্লাদ না হয়ে কংস হলে ভাল হত।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ। খড়িবাড়ির ১০ বছরের নির্যাতিতা আদিবাসী নাবালিকাকে দেখতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান প্রহ্লাদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজের থেকে ভাল চিকিৎসা ব্যবস্থা পশু হাসপাতালে রয়েছে।’’ অন্য দিকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কাজ খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্ধ্যায় ঝটিকা সফরে ধূপগুড়িতে আসেন উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে ধূপগুড়ি থেকে নাথুয়াগামী রাজ্য সড়কের কাজ পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া রাস্তা সম্প্রসারণ, সৌন্দর্যায়নের একাধিক কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন রবীন্দ্রনাথ।
সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের তীব্র আপত্তি জানান। প্রহ্লাদকে নিশানা করে তাঁর বক্তব্য, ‘‘উনি তো হাফ প্যান্ট মন্ত্রী। উনি পর্যটন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কারণ ওঁর কাছে কোনও ফাইলই যায় না।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের জমানায় প্রচুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলি থেকেও মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে ছুটে আসেন। শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নয়, রাজ্যের সব হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো খুব উন্নত। এই রাজ্যের মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পান। প্রহ্লাদ বাবুর নিজের রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেখুন কি খারাপ অবস্থা।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংকীর্ণ রাজনীতি করার অভিযোগও তুলেছেন রবীন্দ্রনাথ।
আরও পড়ুন: নড্ডার গা ঘেঁষে রাজ্য বিজেপি-র ছোট-বড় নেতারা, নেই ‘পোস্টারবয়’
পর্যটন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের তোপ, ‘‘দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা উত্তরবঙ্গে ঘুরতে আসেন। পর্যটকদের এত ভিড় হয়, থাকার জায়গা পান না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আজ পর্যন্ত কোন ভাবেই সাহায্য করেনি রাজ্যকে। কেন্দ্র তো স্বাস্থ্য খাতে, পর্যটন খাতে টাকা দিতে পারে। কিন্তু গত ৭ বছরে এক টাকাও দেয়নি।’’ এই সব মন্ত্রীর কথায় কিছু আসে যায় না বলেও কার্যত পাত্তা দিতে চাননি রবীন্দ্রনাথ।