প্রতীকী চিত্র
এক পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীর জমি বেআইনি ভাবে অন্যের নামে রেকর্ড করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইটাহার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জের রাসবিহারী মার্কেট এলাকার একটি ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই অভিযোগ তোলেন ওই মহিলা। মহিলার নাম কোহিনুর বেগম। তাঁর বাড়ি ইটাহারের কেওটাল এলাকায়। সাংবাদিক সম্মেলনে কোহিনুরের স্বামী আনোয়ার আলি ও তাঁদের আইনজীবী কোশিক গুপ্ত হাজির ছিলেন। আনোয়ার দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় একটি চালকলে কাজ করতেন। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় প্রায় পাঁচ মাস আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। কোহিনুরের দাবি, ২১ জুলাই তিনি উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক, জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক ও ইটাহার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে তাঁর জমি অন্যের নামে রেকর্ড হয়ে যাওয়ার লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ করেনি।
ইটাহার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক প্রদীপচন্দ্র রায় বলেন, “ওই জমির রেকর্ড খতিয়ে না দেখে কিছু বলা সম্ভব নয়।” কোহিনুরের দাবি, চাষবাস করে রোজগারের জন্য ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি স্বামীর জমানো ৭২ হাজার ৬০০ টাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে কেওটাল এলাকায় ১১ শতক জমি কেনেন। এর পরে সরকারি পদ্ধতি মেনে তিনি ওই জমি তাঁর নামে রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড করান। কোহিনুর বলেন, “পারিবারিক প্রয়োজনে গত ২ জুলাই আমি অনলাইনে ওই জমির তথ্য সংগ্রহ করি। তখনই জানতে পারি আমার কেনা ওই জমি কেওটাল এলাকারই বাসিন্দা উপেন্দ্রনাথ বর্মণ নামে এক ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। অথচ আমার কাছে আমার নামে ওই জমির রেজিস্ট্রি ও রেকর্ডের নথি রয়েছে। ইটাহার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বেআইনি ভাবে আমার জমি ওই ব্যক্তির নামে রেকর্ড
করে দিয়েছে।”কোহিনুরের আইনজীবী কৌশিক বলেন, “দু’মাস আগে এই বিষয়ে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে আমরা আইনের পথে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।”উপেন্দ্রনাথের ছেলে শেখর বলেন, “ওই জমি আমাদের। জমি কেনা ও মালিকানার নথি ও প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলি যথাযথ জায়গায় পেশ করব। জোর করে আমাদের জমি কেউ দখল নিতে পারবেন না।”