প্রতিবাদ অব্যাহত। শুক্রবার আদালত চত্বরে বিক্ষোভের পরে ধৃত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার সন্ধ্যায় আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর পাড়ার বাসিন্দারা মোমবাতি মিছিল করলেন। ধৃত তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় শহরের ৩ নম্বর গুমটি এলাকা থেকে থানা মোড় পর্যন্ত মোমবাতি মিছিলে পা মেলান বিভিন্ন বয়সের কয়েকশো মানুষ। তাঁদের মুখে ছিল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি।
ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র বাণিজ্য কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শঙ্কর চন্দকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে প্রতিবেশীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বেলা ১২টা থেকে প্রায় ২০ মিনিট ওই বিক্ষোভ চলে।
শনিবার তাদের শাস্তির দাবিতে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অন্তত তিনশো বাসিন্দা হাতে মোমবাতি নিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ হাঁটেন। ঘটনার প্রতিবাদের পাশাপাশি ধৃত ছাত্র নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মুখর হন তাঁরা।
শুক্রবার অভিযুক্ত শঙ্করকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ‘প্রিভেনশন অব চাইল্ড সেক্সুয়াল অফেন্সের’ (পকসো) ১৪ নম্বর ধারায় মামলাটি বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত করেছেন জেনে বাসিন্দাদের অনেকে এদিন কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাওয়ার কথা জানান।
তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, প্রায় তিন বছর আগে শহরের নতুনপাড়ার বাসিন্দা ধৃত তৃণমূল ছাত্র নেতার সঙ্গে ৩ নম্বর গুমটি এলাকার বাসিন্দা মৃত ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্প্রতি সেই সম্পর্কের অবনতি হয়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীটি বাড়িতে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এর পরে প্রায় একমাস জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিল সে। গত ২৪ মার্চ ছাত্রীটি মারা যায়।