ফাইল চিত্র।
প্রত্যেকবার রেলের জমিতে দূর্গা পুজোর অনুমতি নিয়ে নানা টাল বাহানায় পড়তে হয় শিলিগুড়ি শহর এবং মহকুমার বেশকিছু পুজো কমিটিকে। এবার রেলের পক্ষ থেকে ১৫-১৬টি পুজো কমিটিকে পুজো করতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। সেই পুজো কমিটিগুলির অনুমতির জন্য রেলকে জানানো হবে বলে সোমবার পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে আলোচনার পর জানালেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। রেল অনুমতি না দিলে রজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হবে তিনি জানান।
এদিন শিলিগুড়ি মহকুমা, পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডগুলি বাদে বাকি ৩৩ টি ওয়ার্ড, এবং ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে প্রশাসনিক বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান, অনুমতি না নিয়ে অল্প কয়েক বছর থেকে কিছু পুজো চলছে। সেগুলির অনুমতি না পেলে সরকারি সাহায্য পাবে না। সেই পুজো কমিটিগুলো যাতে সাহায্য পায় সেজন্য তাদের অনুমতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের অনলাইনে সাহায্যের আবেদনও করতে বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের রেলের কিছু জমিতে পুজোর করতে বাধা দিলেও পুজো বন্ধ থাকবে না। দীর্ঘদিন থেকে যারা পুজো করছে রেল অনুমতি না দিলেও আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অনিমতি দেব।’’
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘রেলের জমিতে পুজোর অনুমতি শর্ত সাপেক্ষে দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এনজেপির ক্ষেত্রে কী হয়েছে তা খতিয়ে না দেখে বলা সম্ভব নয়। করোনার জন্য রাজ্য সরকারের কিছু বিধিনিষেধ থাকতে পারে।’’
এনজেপির রেল ইন্সটিটিউটের মাঠে সেন্ট্রাল কলোনির পুজোর অনুমতি এখনও মেলেনি বলে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক দেবাশিস সরকার জানান, অনুমতি জন্য কাটিহার ডিভিশনে জানান হবে। তবে বিগত বছরগুলিতে তারা অনুমতি পেয়েছিল। এবার না দিলে রাজ্য সরকার দেবে বলে তিনি জানান। ৩২ এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাতিকলোনি, ডিজেল কলোনি, কাশ্মীর কলোনি এবং আরও বেশ কিছু পুজো হয়। তারাও এখনও অনুমতি পায়নি বলে দাবি। তবে ছোট করে হলেও তাদের পুজো হবে বলে কমিটি পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
শুধু শিলিগুড়ি শহরের এনজেপি এলাকায় নয় মহকুমার বাগডোগরা, নকশালবাড়িতেও কয়েকটি পুজো রেলের জমিতে হয়ে থাকে। লোয়ার বাগডোগরা দূর্গোউৎসব কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেলের নানা টালবাহানায় অনুমতি পেতে সসমস্যা হয়। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিলে সেই সমস্যা দূর হবে। শিলিগুড়ির এবং ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির ১০ টি করে সেরা পুজোকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী আলোচনায় জানিয়েছেন।