Wage

Wage: মজুরি বৃদ্ধি দাবিতে আন্দোলনে বাগান- শ্রমিকরা

আন্দোলন শ্রমিক ঐক্যের পক্ষ থেকে হলেও শ্রমিকদের দাবিকে সমর্থন করেছে তৃণমূল সমর্থিত চা শ্রমিক সংগঠনের বংশীধাম চা বাগান শাখার সভাপতি বিষ্ণু রায়।

Advertisement

দেবজ্যোতি রায় লস্কর

মেখলিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ০৭:১১
Share:

শ্রমিকদের অভিযোগ, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও বর্তমানে মাত্র ২০২ টাকা মজুরি দেওয়া হচ্ছে। ফাইল চিত্র।

শনিবার মজুরি বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে নামলেন মেখলিগঞ্জ ব্লকের বাগডোকরা ফুলকাডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বংশীধাম চা বাগানের শ্রমিকরা। দল মত নির্বিশেষে চা বাগানের অধিকাংশ শ্রমিকরা এ দিন মিলিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। বাগানটির ম্যানেজারকেও একটি দাবিপত্র তুলে দেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও বর্তমানে মাত্র ২০২ টাকা মজুরি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই টাকায় সংসার খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন চা শ্রমিক সুশান্ত রায়, পরিমল চন্দ্র রায়, বাসন্তী রায়, শ্যামপদ বর্মন, বিষ্ণু রায়েরা।

Advertisement

এক চা শ্রমিক বাসন্তী রায়ের অভিযোগ, ‘‘যে টাকা মজুরি দেওয়া হয় সেই টাকায় মাছ-মাংস দূরের কথা দুবেলা ঠিক মতো ভাত জোটে না রোজ।’’ একই সুরে পরিমল চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সঠিক মজুরির দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবিতে কর্ণপাত করছে না মালিক পক্ষ। যার ফলে আন্দোলনে নেমেছি।’’

এদিন ন্যায্য মজুরি-সহ ১২৮ ভোটবাড়ির শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, যাঁদের পিএফ চালু হয়নি তাঁদের পিএফ চালু করা, গ্রাচুয়িটি মানি চালু-সহ চা শ্রমিকদের চা পাতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

Advertisement

অস্থায়ী চা শ্রমিক সুভাষ চন্দ্র রায়ের অভিযোগ, ‘‘আমার মত অনেকে রয়েছে যার বাবা মা চা শ্রমিক ছিল। অবসর নেওয়ার পর ছেলে বা মেয়েরা কাজ শুরু করেছে। কিন্তু তাদের স্থায়ী করতে গড়িমসি করছে বাগান কতৃপক্ষ।’’ দ্রুত দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেন চা শ্রমিকরা। শ্যামপ্রসাদ বর্মণ বলেছেন, ‘‘আমরা চা বাগানের শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে অবস্থান বিক্ষোভের পর ম্যানেজারকে শ্রমিকদের গণ সাক্ষর সম্মেলিত দাবিপত্র তুলে দেই। দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’

এ দিনের চা শ্রমিকদের আন্দোলন শ্রমিক ঐক্যের পক্ষ থেকে হলেও শ্রমিকদের দাবিকে সমর্থন করেছে তৃণমূল সমর্থিত চা শ্রমিক সংগঠনের বংশীধাম চা বাগান শাখার সভাপতি বিষ্ণু রায়। তিনি বলেন, ‘‘একই দাবি আমরাও ম্যানেজার মারফত চা বাগানের মালিককে জানিয়েছি। মালিক পক্ষ আশ্বাস দিয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।’’

এ নিয়ে চা বাগানের ম্যানেজার মহম্মদ মিসের আলি বলেন, ‘‘চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক পক্ষের ইউনিয়ন। সেই মজুরির ভিত্তিতে চা শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয়। যদি কেন্দ্রীয় ভাবে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয় তবে সেই মজুরি আমরাও দেব। শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছেন, এই দাবিগুলো মালিককে জানানো হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement