বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
১০০ দিনের কাজের ‘বকেয়া’ অর্থ আদায়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লির রাজঘাট, যন্তর মন্তরে দু’দিনের কর্মসূচির পর কলকাতায় রাজভবনের অদূরে ধর্নাও দেয় তারা। এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কোচবিহারের শীতলখুচির বিজেপি বিধায়ক বরেন বর্মণ। বিধায়কের গাড়িতে লাথি মারেন বিক্ষোভকারীরা। পথ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে কেউ কেউ গাড়ির সামনে শুয়েও পড়েন!
এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, শাসকদলের লোকেরা পরিকল্পনা করে তাঁর গাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। জোড়াফুল শিবির অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, হকের টাকা না মেলায় এই বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ।
রবিবার শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরতলা এলাকায় বস্ত্র বিতরণী কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বরেন। সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী তাঁর গাড়ি ঘিরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। তাঁর গাড়িতে লাঠিও মারা হয়েছে। পরে অবশ্য কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা বিধায়ককে সেখান থেকে বার করে নিয়ে যান। পরে বরেন বলেন, ‘‘বস্ত্র দান অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করতেই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। ওদের লোকেরা এ সবের পিছনে ছিল।’’
পাল্টা তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি দীপক প্রামাণিক বলেন, ‘‘ভোটের জেতার পর আর এলাকায় আসেননি বিধায়ক। শান্তিপূর্ণ ছোট শালবাড়িতে আজ অশান্তি তৈরি করতে এসেছিলেন উনি। এত দিন পর বিধায়ককে দেখে স্থানীয় মানুষেরা ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবি করেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।’’