তাপসের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী। তার পর তাঁকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। —নিজস্ব চিত্র।
বধূ নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক তথা চপ শিল্প নিয়ে গবেষণাপত্রের মেন্টর তাপস পাল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল সোমবার। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানা গিয়েছে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাপসকে। অন্য দিকে, অধ্যাপককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের পড়ুয়ারা।
তাপসের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন তাঁর স্ত্রী ময়ূরিকা রায়। তিনিও পেশায় অধ্যাপিকা। তাঁর করা অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ ডিসেম্বর অভিযুক্ত অধ্যাপক তাপসকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। তার পরেই সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠকে বসে তাপসকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গ্রামীণ চপশিল্প কী ভাবে সংসার চালাতে সাহায্য করে তা নিয়ে গবেষণাপত্র জমা দিয়েছেন মালদহের মেয়ে কণা সরকার। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের চতুর্থ সেমেস্টারের ছাত্রীকে এই বিষয়টি বেছে নিতে সাহায্য করেন তাঁর ‘গাইড’ তথা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক তাপস। কয়েক মাস আগে সংবাদ শিরোনামে আসা তাপসের গ্রেফতারিতে চাঞ্চল্য জেলার শিক্ষা মহলে।
সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, ‘‘পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাপসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও তাপসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’’ পাশাপাশি, এই ঘটনার তদন্ত করতে উপচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্লভ।