Kunal Ghosh and Sajal Ghosh

কুণালের পাশে সজল, দুই শিবিরের দুই ঘোষের ‘আড্ডা’ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিতর্ক উস্কে দিলেন দু’জনেই

এক সময়ের সতীর্থ হলেও কুণাল ঘোষ ও সজল ঘোষের এখনকার রাজনৈতিক অবস্থান একেবারে উল্টো মেরুতে। সেই দুই মেরুর বাসিন্দা রবিবার একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। আর তাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৫২
Share:

বড়দিনের অনুষ্ঠানে কুণাল ঘোষ ও সজল ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।

বড়দিনের সন্ধ্যায় রবিবার ‘আড্ডা’ দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। কুণাল ‘আড্ডা’ বলে দাবি করলেও তাতে ঘোর আপত্তি সজলের। উল্টে আক্রমণ শানালেন তিনি। এমনকি, বিনা আমন্ত্রণে কুণাল ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন কলকাতার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর।

Advertisement

কুণাল এখন রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক এবং মুখপাত্র। অন্য দিকে, সজল বিজেপির সাংগঠনিক বিভাগ কলকাতা কমিটির শীর্ষে। রবিবার তাঁদের দেখা হয় বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলার প্রাক্তন সভাপতি শিবাজি সিংহ রায়ের একটি অনুষ্ঠানে। কুণাল জানান, ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েই তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে শিবাজি এবং সজলের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু ক্ষণ আড্ডাও হয়। কুণাল বলেন, ‘‘বড়দিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে পুরনো সতীর্থের সঙ্গে দেখা হতেই অনেক কথা হল।’’ কী বিষয়ে কথা? কুণাল বলেন, ‘‘সেটা বলা ঠিক হবে না। তিন জন রাজনীতিকের আড্ডায় রাজনীতির কথা তো আসবেই। একটা সময় পর্যন্ত আমি আর সজল দাদা আর ভাই হিসাবে পরিচিত ছিলাম।’’

কুণালের বক্তব্য শুনে কিছুটা যেন রেগেই গেলেন সজল। তিনি বলেন, ‘‘আমি মোটেও আড্ডা দিইনি। আমার আড্ডা দেওয়ার অনেক লোক আছে। আমি যার তার সঙ্গে আড্ডা দিই না। কেমন আছেন জিজ্ঞেস করেছি, কিন্তু আড্ডা নয়। উনি নিজের দুঃখের কথা, হতাশার কথা বলছিলেন। তিনি অতীতের কথা বলে কী ভাবে প্রতিশোধ নিতে চান সে কথাও বলছিলেন। কথাগুলো আমি এখন আর বলছি না।’’

Advertisement

কুণাল যে ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন, তা তিনি আগে জানতেন না বলেও দাবি করেন সজল। তিনি বলেন, ‘‘কুণাল আসবেন জেনেও সেখানে আমায় কেন ডাকা হল তা পরে শিবাজির কাছে জানতে চেয়েছি।’’ এখানেই না থেমে সজল বলেন, ‘‘ওঁর একটা সমস্যা আছে। যেখানেই ভাল খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা থাকে সেখানেই চলে আসেন। এর আগেও দেখেছি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে খাওয়াদাওয়া আছে শুনে চলে গিয়েছিলেন। এখানেও তো ভাল ভাল খাবারের ব্যবস্থা ছিল। তিনি এখানেও চলে এসেছিলেন।’’ কিন্তু তিনি তো শিবাজির আমন্ত্রণে এসেছিলেন? সজল বলেন, ‘‘আমি এটা নিয়ে শিবাজিদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি জানান, নিমন্ত্রণ করেননি। কুণাল নিজে থেকেই এসেছিলেন।’’

গত দুর্গাপুজোর সময়ে এ ভাবেই বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের বাড়ি তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ওই যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তাপসকে সমর্থন করেছিলেন কুণালও। এ বারও তো তেমন বিতর্ক তৈরি হতে পারে। জবাবে সুদীপের নামোচ্চারণ না করে কুণাল বলেন, ‘‘আমি সকাল বিকাল দলের হয়ে বিজেপি এবং দলবদলুদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে লড়াই করে যাচ্ছি। সুতরাং, আমায় নিয়ে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই।’’ কুণাল আরও বলেন, ‘‘সবের একটা প্রেক্ষিত থাকে। আমি যে ভাবে লড়াইয়ে থাকি, তাতে আমায় নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকবে না। যেখানে লড়াইয়ে অভাব থাকবে সেখানেই প্রশ্ন থাকবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement