প্রতীকী ছবি।
টাস্কফোর্সের হানা চলছে। সরকারি ভাবে ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রিও করছে প্রশাসন। কিন্তু অভিযোগ, মালদহে জ্যোতি হোক বা পোখরাজ, আলুর দাম ৩৫ টাকাতেই বাধা!
প্রশাসনিক তৎপরতার মধ্যেও কেন আলুর দাম কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, মালদহের বিভিন্ন হিমঘর থেকে আলু চলে যাচ্ছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডে। ছোট ছোট পিকআপ ভ্যান ও ভুটভুটি করে হরিশ্চন্দ্রপুর, মানিকচক, রতুয়া, চাঁচল হয়ে তা যাচ্ছে ভিন্ রাজ্যে। আলুর মূল্যবৃদ্ধির এ-ও অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন জেলাবাসীর একাংশ।
তিন সপ্তাহ আগে মালদহে আলুর দাম কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকা হয়ে যায়। এর পরেই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মালদহ জেলা প্রশাসন দুটি টাস্কফোর্স গঠন করে। তার সদস্যরা মালদহ জেলা সদরের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালান। জেলা প্রশাসন ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে ২৮ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি করা শুরু করে বাজারে বাজারে।
রবিবার সকালেও মকদুমপুর বাজারে সেই আলু বিক্রি হয়। জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মাত্র এক ঘণ্টায় তিন কুইন্ট্যাল পোখরাজ আলু বিক্রি হয়েছে।
কিন্তু অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের পরেও বাজারে আলুর দাম কমেনি। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় যে আটটি হিমঘর রয়েছে, সেখানে এখন প্রায় ২৯ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুত রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হিমঘরগুলিতে থাকা কৃষকদের আলুর বন্ডের বেশিরভাগই আটকে রেখেছেন কয়েক জন ব্যবসায়ী ও ফড়ে। সেই আলু বাজারে যত না আসছে, তার বেশিরভাগ অংশ ছোট গাড়ি ও ভুটভুটি করে ঝাড়খণ্ড ও বিহারে চলে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ওই দুই রাজ্যে মালদহের চেয়ে কেজিতে অন্তত তিন থেকে চার টাকা করে আলুর দাম বেশি রয়েছে। তার জেরেই মালদহের বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রশাসনিক পদক্ষেপ শুরু হওয়ায় আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আর বাড়েনি। তবে যে সমস্ত অভিযোগ উঠে আসছে সে সব খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’