প্রতীকী ছবি।
গত তিন দিন ধরে রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশ আলু ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাজারে পুলিশ ও প্রশাসনের অভিযান শুরু হতেই কেজি প্রতি আলুর দাম ৫ টাকা কমে যায় বলে বাসিন্দাদের দাবি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার দুর্নীতিদমন শাখার ডিএসপি প্রদীপ সিংহ, রায়গঞ্জের বিডিও রাজু লামা ও রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপার নেতৃত্বে পুলিশ ও প্রশাসনের একটি দল মোহনবাটী ও দেবীনগর বাজারে অভিযান চালান। তাঁরা দুটি বাজারের একাধিক আনাজের দোকান ও গুদামে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে আলুর পাইকারি ও খুচরো দাম লিখে নেন। তাঁরা ব্যবসায়ীদের বেশি দামে আলু বিক্রি না করারও নির্দেশ দেন।
প্রদীপ বলেন, “ব্যবসায়ীদের বেআইনি ভাবে বেশি দামে আলু বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। এর পরেও কোন ব্যবসায়ী বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন বলে প্রমাণ মিললে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।”
জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, করোনা আবহের জেরে রায়গঞ্জ-সহ জেলার বাজারগুলিতে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এত দিন নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। এখন থেকে নিয়মিত বাজারগুলিতে ওই অভিযান চালানো হবে।
কিছু দিন ধরে রায়গঞ্জের মোহনবাটী, দেবীনগর, বন্দর, সুভাষগঞ্জ, এফসিআই, গোশালা, লাইনবাজার সহ জেলার নয়টি ব্লকের বিভিন্ন বাজারে আলু কেজিপ্রতি ৪০ টাকা খুচরো দরে বিক্রি হচ্ছে।
রায়গঞ্জের রমেন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা চন্দন সাহা বলেন, “গত বুধবার থেকে রায়গঞ্জের সমস্ত বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশ কেজিপ্রতি আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন। এ দিন দুটি বাজারে অভিযান শুরু হতেই আলুর দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে যায়।”
মোহনবাটী বাজারের খুচরো আনাজ ব্যবসায়ী কমলেশ্বর সাহার অবশ্য দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রায়গঞ্জের পাইকারি বাজারে জ্যোতি আলু কেজি প্রতি ৩৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরো ব্যবসায়ীরা কেজি প্রতি তিন টাকা লাভে ৪০ টাকা দরে আলু বিক্রি করছেন।
রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী, পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত সোম বলেন, “কোনও ব্যবসায়ী বেআইনি ভাবে আলুর দাম বাড়ালে বা আলু নিয়ে কালোবাজারি করলে আইন আইনের পথে চলুক।”