ফাইল চিত্র।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, তা সত্বেও ফের নিজের সাংগঠনিক শক্তি দেখানোর পরীক্ষা বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্রের। কাল, বৃহস্পতিবার তাঁর খাসতালুক গঙ্গারামপুরে সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় এক লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়েছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে গঙ্গারামপুর থেকে কুমারগঞ্জ, হিলি থেকে কুশমন্ডির প্রতিটি বুথ থেকে কর্মী-সমর্থক নিয়ে মাঠ ভরাতে নেতারা উঠে-পড়ে লেগেছেন।
বিধানসভা ভোটের মুখে উত্তরবঙ্গের গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে এটাই অভিষেকের প্রথম জনসভা। সেখানে দলের একঝাঁক নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও অভিষেকই প্রধান বক্তা। এক তৃণমূল নেতার মতে, সভায় ব্যাপক সমাবেশ ঘটানোর উপর ফের সাংগঠনিক দক্ষতা দেখানোর পরীক্ষায় নামতে হয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। সভা সফলের উপর দলে গুরুত্বও নির্ভর করছে তাঁর। এতে জেলা নেতৃ্ত্বের একাংশ প্রমাদ গুনছেন বলে খবর। জেলায় বিপ্লব দায়িত্বে চলে এলে তাঁদের কর্তৃত্বের রাশ আলগা হয়ে পড়বে। ফলে অভিষেকের জনসভায় ভিড় ঠেকাতে তারা তল কাটতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন বিপ্লব।
মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘তপন, হরিরামপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মীদের সভায় আনতে দলের একাংশ নেতৃত্ব গাড়ি আটকে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন।’’ ফলে মালদহ ও উত্তর দিনাজপুর থেকেও গাড়ি ভাড়া করে জেলার ব্লকগুলিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বলে বিপ্লব জানান।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গত লোকসভা ভোটে অর্পিতা ঘোষ হেরে গেলে বিপ্লবকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়। তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। কিন্তু বর্তমান তৃণমূল জেল নেতৃত্ব বিপ্লবকে কোনঠাসা করে রাখতে তাঁকে এড়িয়ে চলেন বলে দলের অন্দরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে শিলিগুড়িতে বিপ্লবকে ডেকে দলীয় কর্মসূচিতে নামতে বলেন। তাঁকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বর্তমান জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশও দেন।
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘ওই সভা সফল করতে সবাই কাজ করছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই।’’ এই পরিস্থিতিতে গঙ্গারামপুরে অভিষেকের সভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাপিয়ে মাঠ ভরিয়ে সাংগঠনিক দক্ষতা আরও একবার দেখানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বিপ্লবের।