চলছে প্রশিক্ষণ। নিজস্ব চিত্র
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। সেখানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী এলে কী ভাবে নিজেদের বাঁচিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করবেন সেই নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সদের একাংশ। সেই চিন্তা দূর করতেই বৃহস্পতিবার একটি সেমিনারের আয়োজন হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে।
চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য কী করা উচিত সে সব বোঝাতেই হয়েছে এই সেমিনার। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার দেব বলেন, ‘‘চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই বিশেষ রোগ নিয়ে সচেতন করতেই এই সেমিনার হল। তাঁরা যাতে অহেতুক এই রোগ নিয়ে আতঙ্কিত না হন বা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারেন সে জন্য বিস্তারিত জানানো হল।’’ পড়ুয়াদেরও এ দিন এই সেমিনারে সামিল করা হয়। অধ্যক্ষ, সুপার কৌশিক সমাজদার বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের অনেকেই ছিলেন।
করোনাভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘ক্যুইক রেসপন্স টিম’ তৈরি করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে। মেডিসিন বিভাগের প্রধান দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, ওই বিভাগের চিকিৎসক সন্দীপ সাহা, মাইক্রোবায়োলজির সঞ্জয় মল্লিক, কমিউনিটি মেডিসিনের প্রধান গৌতম ধরের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিষয়টি তুলে ধরেন।
দীপাঞ্জন বলেন, ‘‘করোনাভাইরাস আক্রান্তের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবারে যত কম চিকিৎসক এবং নার্স গেলে হবে সেটাই মেনে চলতে বলা হয়েছে। যাঁরা যাবেন তাঁরা নিয়মমাফিক মাস্ক, পার্সোনাল প্রটেকটেড ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরে যাবেন।’’ কী করে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, পোশাক পরতে হবে সেগুলো দেখানো হয়। চশমা, ঘড়ি, মোবাইল ফোন বা ব্যাগ নিয়ে যাওয়া যাবে না আইসোলেশন ওয়ার্ডে। কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান বলেন, ‘‘রোগীর কাছে যিনি যাবেন তিনি হাত ধুয়ে গ্লাভস পরবেন। এর পর ধাপে ধাপে পিপিই বা বিশেষ পোশাক যে ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই মতো পরবেন। চিনে এর সংক্রমণ ঘটছে। এখানে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি।’’ আক্রান্ত কেউ এখানে এলে তাঁর সোয়াব সংগ্রহ করে কী ভাবে পাঠাতে হবে সেটাও জানানো হয়।