ফাইল চিত্র।
করোনা আবহে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ডাক্তারি স্তরের পড়ুয়াদের ক্লাস, প্র্যাক্টিক্যালও। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এক বছর ধরে ডাক্তারি স্তরের পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাস চালু রয়েছে। মাস খানেক আগে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি নেওয়া হয়। তার আগে গত মার্চ মাসে ডাক্তারি স্তরে দ্বিতীয় ব্যাচের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে পড়ুয়াদের প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করানো সম্ভব নয়। ফলে দেড় বছর ধরে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা পিছিয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে করোনা বিধি মেনে ডাক্তারি স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের ‘হাইব্রিড মুডে’ প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস শুরু করলেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার থেকে ওই ক্লাস শুরু হয়েছে।
মেডিক্যালের অধ্যক্ষ কৌশিক সমাজদারের দাবি, রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে এদিন থেকে ডাক্তারি স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের করোনা বিধি মেনে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁদের অনলাইনে পঠনপাঠনও চালু রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের কয়েকটি দলে ভাগ করে অনলাইনে পঠনপাঠন ও সশরীরে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস চালু হওয়ায় ক্লাস নেওয়ার পুরো পদ্ধতিটিকে হাইব্রিড মুড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কৌশিক বলেন, “করোনা সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে যে সমস্ত পড়ুয়ারা প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নিয়েছেন, তাঁদের সামাজিক দূরত্ব মেনে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত পড়ুয়াদের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার সময় এখনও হয়নি, তাঁরা আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজ় না নেওয়া পর্যন্ত প্রতি ১৫ দিন অন্তর তাঁদের ওই পরীক্ষা করাতে হবে। প্রতিবার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলেই তাঁদের প্র্যাক্টিক্যালের অনুমতি দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, মেডিক্যালে ডাক্তারি স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া মিলিয়ে দু’শো ছাত্র রয়েছে। প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করার জন্য এদিন এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও ভিন্ রাজ্যেরপ্রায় ৫০ শতাংশ পড়ুয়া মেডিক্যালের হস্টেলে ফিরেছেন।