post office

Post office: বন্ধ চা বাগানে খোলা ডাকঘর, পরিষেবা পাচ্ছেন বহু গ্রাহক

বাগানের বন্ধ কারখানায় মানুষের আনাগোনা নেই। তবে কারখানার গেট আজও খোলা। কারণ বাগানের ভিতরের ডাকঘরে ঝাঁপ পড়েনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ডুয়ার্স শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৫৭
Share:

নিজস্ব চিত্র।

প্রায় সাত বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ডুয়ার্সের রেড ব্যাঙ্ক চা বাগান। তবে এখনও খোলা চা বাগানের ভিতরের ডাকঘর। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ওই ডাকঘর থেকে এখনও নিয়মিত পরিষেবা পাচ্ছেন স্থানীয়েরা।

Advertisement

২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় ডুয়ার্সের অতি পরিচিত রেড ব্যাঙ্ক চা বাগান। চা বাগানের শ্রমিকেরা কাজের খোঁজে পাড়ি দিয়েছেন ভিন্‌ রাজ্যে। অনেকে যুক্ত নদী থেকে পাথর তোলার কাজে। বন্ধ বাগানের মধ্যে প্রায়শই ঘোরাফেরা করে চিতাবাঘ, হাতি-সহ বন্যপ্রাণীরা। বাগানের বন্ধ কারখানায় মানুষের আনাগোনা নেই। তবে কারখানার গেট আজও খোলা। কারণ বাগানের ভিতরের ডাকঘরে ঝাঁপ পড়েনি।

রেড ব্যাঙ্ক চা বাগান থেকে বানারহাটের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। আশপাশে অন্য কোনও ডাকঘর না থাকায় চা বাগানের শ্রমিকেরা রেড ব্যাঙ্ক পোস্ট অফিসেই চিঠিচাপাটির জন্য আসতেন। তবে এখন এই ডাকঘর থেকে রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানের পাশাপাশি ধরণীপুর, শালবনি এবং সুরেন্দ্রনগর চা বাগানের বাসিন্দারাও এখানে আসেন। ডাকঘরে প্রায় ৮৫০ অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন পোস্ট মাস্টার বদলচন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘‘১০ বছর আগেও এই পোস্ট অফিসে কাজ করেছি। গত চার বছর ধরে নিয়মিত কাজ করছি। প্রতি দিন জঙ্গলের নিঃস্তব্ধতার মধ্যেই গ্রাহকেরা আসছেন। একাধির যোজনার আওতায় টাকা জমা বা তুলছেন। আমরাও সে পরিষেবা দিচ্ছি।’’

Advertisement

ডাকঘরের মতোই রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানও খোলা থাকলে উপকৃত হতেন বলে জানিয়েছেন চা বাগানের কর্মচারী রানা সরকার। তিনি বলেন, ‘‘এই পোস্ট অফিস থেকে যা সুবিধা পাচ্ছি, তাতে আমরা খুশি। তবে চা বাগানটা খুলে দিলে সকলেরই উপকার হত। তাতে আরও খুশি হতাম।’’ চা বাগান খোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের বানারহাট সাংগঠনিক ব্লকের কিসান ক্ষেতমজুর ব্লক সভাপতি রাজু গুরুং বলেন, ‘‘রেড ব্যাঙ্ক পোস্ট অফিসের মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এই বাগানটি খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement